শিক্ষক নিয়োগে ডিজিটাল জালিয়াতি রোধ করবে বুয়েটের ‘সুরক্ষা’
২১ মার্চ ২০২৪ ১৮:১৩
ঢাকা: বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় ডিজিটাল বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতির ঘটনা নতুন নয়। সরকারি বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষাতেই এ ধরনের ‘ডিজিটাল জালিয়াতি’র ঘটনা ঘটে থাকে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যেন কেউ এ ধরনের জালিয়াতির আশ্রয় না নিতে পারে, সে কারণে এবার ডিজিটাল প্রযুক্তির আশ্রয় নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ একটি যন্ত্র। পরীক্ষার হলে যে কেউ ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোনো জালিয়াতির আশ্রয় নিতে গেলেই এই যন্ত্র তা শনাক্ত করতে সক্ষম হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ এই ডিজিটাল ডিভাইসের তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, যন্ত্রটির নাম ‘সুরক্ষা’। আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এই যন্ত্রটি পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচটি জেলায় ব্যবহার করা হবে।
‘সুরক্ষা’ উদ্ভাবন করেছে বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইআইটিসি)। যন্ত্রটি উদ্ভাবনে যুক্ত ছিলেন বুয়েট অধ্যাপক এস এম লুৎফুল কবির। সংবাদ সম্মেলনে তিনি যন্ত্রটির বিভিন্ন কারিগরি দিক তুলে ধরেন।
সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, বর্তমানে অনেক নিয়োগ পরীক্ষায় কোনো কোনো চাকরিপ্রার্থী ক্ষুদ্রাকৃতির বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করেন। সেগুলো কানে এমনভাবে বসানো হয় যেন স্বাভাবিকভাবে ধরা পড়ে না। প্রায়ই নিয়োগ পরীক্ষায় এরকম জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া কেউ কেউ ধরা পড়েন। এরকম জালিয়াতি রোধ করতেই বুয়েটের মাধ্যমে আমরা ‘সুরক্ষা’ যন্ত্রটি বানিয়েছি। সন্দেহভাজন যে কারও কাছাকাছি গেলেই যন্ত্রটি সিগন্যাল দেবে।
সচিব আরও বলেন, বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজিকে যন্ত্রটি উদ্ভাবন করতে ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। যন্ত্রটি তৈরিতে প্রাথমিকভাবে সাড়ে আট হাজার টাকা খরচ হবে। পরে বেশি পরিমাণে উৎপাদন করা হলে দাম সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায় নেমে আসবে। বুয়েটের সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, যন্ত্রটির মাধ্যমে ডিজিটাল জালিয়াতি রোধে শতভাগ সাফল্য আসবে।
এবার আপাতত পাঁচটি জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষামূলকভাবে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হবে। জেলাগুলো হলো— ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ।
আগামী ২৯ মার্চ রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা। এ ধাপে শূন্য পদের সংখ্যা ছয় হাজার ২০১টি। এর বিপরীতে চাকরিপ্রার্থী তিন লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন। সচিব জানান, পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
সারাবাংলা/টিআর
ডিজিটাল জালিয়াতি নিয়োগ পরীক্ষা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ সহকারী শিক্ষক সুরক্ষা ডিভাইস