১ কোটি ২৬ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮৫ কোটি টাকা
২৭ মে ২০২৪ ১৮:৪৮
ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় চলে গেলেও তার প্রভাবে দেশের উপকূলের বিভিন্ন জেলার ১ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এ সব গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। পিডিবি সুত্রে জানা গেছে, কোনো কোনো এলাকায় ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন পরিস্থিতিতিতে রয়েছে। ঝড়ের কারণে এখন পর্যন্ত মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পাঠানো তথ্যে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে প্রায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভৌগোলিক এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ৬৫টি সমিতিতে গ্রাহক সংযোগ আংশিক বা সম্পুর্ণ বন্ধ আছে।
এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকার ৩০ টি সমিতি-তে রেমাল এর আঘাতে প্রাথমিক ক্ষয়-ক্ষতির মধ্যে পোল নষ্ট ২৩৯২টি, ট্রান্সফরমার নষ্ট ১৯৮২টি, স্প্যান (তার ছেঁড়া)-৬২ হাজার ৪৫৪টি, ইন্সুলেটর ভাঙা ২১ হাজার ৮৪৮টি, মিটার নষ্ট ৪৬ হাজার ৩১৮টি। সার্বিকভাবে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি ৭৯ কোটি ২ লাখ টাকা। বেলা ২টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুযায়ী বিদ্যুৎ বিহীন গ্রাহক-১ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)’র প্রাথমিক ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য অনুযায়ী পোল নষ্ট ২০টি, পোল হেলে পড়েছে ১৩৫টি, বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে ২৪.৩৪ কি. মি., ১১ কেভি পোল ফিটিংস বিনষ্ট ১৪২ সেট, ট্রান্সফরমার বিনষ্ট ১২টি, ১১ কেভি ইন্সুলেটর বিনষ্ট-১৩৪। সার্বিকভাবে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। বেলা ৫টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুসারে ঘূণীঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ বিহীন গ্রাহক সংখ্যা ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৮১ জন।
আরও পড়ুন-
- ১৮ ঘণ্টা পর খুলল বঙ্গবন্ধু টানেল
- রেমাল: ১৯ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত
- জলাবদ্ধতায় আটকে পড়েছেন চসিক মেয়র
- বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ৫ লাখ মানুষ, পানিবন্দি ১০ হাজার
- ঘূর্ণিঝড় রেমালে ভোলায় শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু
- রাজশাহীতে রেমালের প্রভাবে বৃষ্টি, বইছে ঝড়ো বাতাস
- গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে রেমাল, নামল মহাবিপৎসংকেত
- খুলনায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত লোকালয়, পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ
- রেমালের প্রভাবে নামছে বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রস্তুত ২ সিটি
- স্থলভাগে ১৬ ঘণ্টা কাটিয়ে শক্তি হারাল রেমাল, সারাদেশে ঝড়-বৃষ্টি
তথ্যে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় চলমান থাকায় ক্ষয়-ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ সরেজমিনে পরিদর্শন করে নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি বলেও জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। প্রাথমিকভাবে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করে ক্ষয়-ক্ষতির একটি প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী কন্ট্রোল রুম-এর মাধ্যমে তদারকি করা হচ্ছে। জেলা পর্যায় ও সমিতি ভিত্তিক কন্ট্রোল রুম রয়েছে। পরিবরহন ঠিকাদারকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) এলাকায় সব ধরনের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)-এর লোকজন প্রয়োজনীয় মালামালসহ প্রস্তুত রয়েছে। ঝড় ও বাতাস কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ শুরু হবে।
সারাবাংলা/জেআর/একে