Wednesday 13 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ঈদের পর ইতিবাচক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে ১৪ দল’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৪ জুন ২০২৪ ১৮:৩৫

ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, জোটের সমস্যা সমাধানে ঈদের আগে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং ঈদের পর জোটগতভাবে ইতিবাচক কর্মসূচি দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসায় জোটের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বিগত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে যেটুকু গোলমাল— তা নিরসন করার জন্য শিগগিরই আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। সেগুলো নিরসন করে ঈদের পর থেকে আমরা ইতিবাচক কর্মসূচি গ্রহণ করব। তার মাধ্যমে এগিয়ে যাব।’

জোটের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে আজ (মঙ্গলবার) বৈঠক হয়েছে বলে উল্লেখ আমির হোসেন আমু বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই— ১৪ দল সাম্প্রদায়িক শক্তি ও আন্তর্জাতিক বলয়ের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি আদর্শিক জোট। এটা কোনো চাওয়া-পাওয়ার জোট নয়। সেই আদর্শের জোট হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল আছে, থাকবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবে। কারণ, আমরা মনে করি— আদর্শিক যে সংঘাত, সেই সংঘাতের শক্তিরা শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত, সেটা মোকাবিলা করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির নিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়— সিন্ডিকেট আছে। যদি সিন্ডিকেট থেকে থাকে এবং সরকারের জানা থাকে— তাদের বিষয়ে সরকারের সক্রিয় ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যাতে করে দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনগণ যে অসুবিধায় আছে, তার সুরাহা হয়, তার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন

আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিক) স্থির থাকতে পারেন— ১৪ দল ছিল, আছে এবং থাকবে। যে শক্তির বিরুদ্ধে ১৪ দল গঠিত হয়েছিল, সেই শক্তি এখনও তৎপর, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং থাকব।’

এক প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সরকার তৎপর। এই ব্যাপারে আমাদের বক্তব্যের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। এটা রাজনৈতিক ব্যাপার না।’

দায়িত্বে থাকাকালীন এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এতবড় দুর্নীতির অভিযোগ কীভাবে দেখেন— এমন প্রশ্নে আমু বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ সরকার গঠন করবে, সরকার প্রমাণ করবে। থাকলে প্রমাণ হবে, শাস্তি হবে। জোটগতভাবে আমাদের কোনো মন্তব্য আছে বলে মনে করি না।’

আপনারা বিব্রত কি না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বিব্রত না। কারণ, মানুষের জীবনে অনেক কিছু ঘটে, দেশের মধ্যে অনেক কিছু ঘটে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ দুর্নীতি করে ধরা পড়লে, তার জন্য আমাদের বিব্রত হওয়ার কারণ নেই। যারা দোষী, ধরা পড়বে, শাস্তি পাবে। তার জন্য আমরা বিব্রত হব কেন?’

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘১৪ দল সবসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এবারও যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে— তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ‍সুস্পষ্ট। এই দুর্নীতি রোধ করতে না পারলে সরকারের যে অর্জন রয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হবে। সেটা বেনজীর হোক, আজিজ হোক।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুক, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

১৪ দল আমির হোসেন আমু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর