ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা
২৭ জুন ২০২৪ ০৮:৩৮
সেমির মঞ্চে এর আগেও বহুবার এসেছেন তারা। প্রতিবারই ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। নকআউট পর্বে গিয়ে হোঁচট খাওয়ায় তাদের নামের পাশে পাকাপাকিভাবে বসে গেছে ‘চোকার্স’ উপাধিও। অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে মুখ ফিরে তাকাল ভাগ্য। টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে মাত্র ৫৬ রানে অলআউট করে কাজটা সহজ করে রেখেছিলেন প্রোটিয়া বোলাররা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটের সহজ জয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আসরের ফাইনালে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ট্রিনিদাদে টসে হেরে বোলিংয়ে নেমে পেসারদের অবিশ্বাস্য বোলিং পারফরম্যান্সে আফগানদের মাত্র ৫৬ রানেই গুটিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুতে ধাক্কা খায় প্রোটিয়ারা। ফজল ফারুকির দারুণ এক ডেলিভারিতে ৫ রানে আউট হন ডি কক। পরের ওভারেই ফিরতে পারতেন মার্করাম। তবে বল তার ব্যাটের কানায় লেগে কিপারের হাতে গেলেও আফগানরা রিভিউ নেননি।
মার্করাম-হেনড্রিকস জুটি এরপর আর বিপদ হতে দেননি। ৯ ওভারের মাঝেই আফগানদের দেওয়া টার্গেট ছুঁয়ে ইতিহাস গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের প্রথম ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার কীর্তি গড়েছেন তারা। এই নিয়ে টানা ৮ ম্যাচ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা, এখন পর্যন্ত এই আসরে অপরাজিত আছে তারা। ফাইনাল জিতলে টি-২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হবেন তারা।
দিনের শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রশিদ খান। সেই সিদ্ধান্ত যে কাল হয়ে দাঁড়াবে তাদের জন্য, সেটা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি আফগানরা। প্রথম ওভারেই আঘান হানেন মার্কো ইয়ানসেন। পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত আফগান ওপেনিং জুটি আজ করতে পেরেছে মাত্র ৪! শূন্য রানে গুরবাজকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন ইয়ানসেন।
এরপর আফগানদের টপ অর্ডার ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। পাওয়ারপ্লের মাঝেই টপ অর্ডার গুড়িয়ে দেন রাবাদা-নরকিয়া। আফগান ব্যাটাররা যেন খেলতেই পারছিলেন না প্রোটিয়া পেসারদের বল। প্রতি ওভারেই উইকেট হারিয়েছে তারা। মাত্র ২৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে কাঁপছিল আফগানিস্তান।
সেখান থেকে দলকে কিছুটা আশা দেখিয়েছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। পুরো লাইনআপে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে দুই অংক ছুঁয়েছেন তিনি। তার ১০ রানের ইনিংসই তাই ব্যাটারদের মাঝে সর্বোচ্চ। ইনিংসের সর্বোচ্চ ১৩ রান এসেছে অতিরিক্ত খাত থেকে। ওমরজাই-জানাতের ২২ রানের জুটি ভাঙ্গেন তাবারিজ শামসি। শামসি ১১ বলের মাঝে ৩ উইকেট নিয়ে আফগানদের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নটা গুড়িয়ে দেন।
রশিদ খানও আজ লড়াইয়ের আভাস দিয়েও কিছু করতে পারেননি। তাকে ৮ রানে ফিরিয়ে আফগানদের শেষ আশাটাও শেষ করেন নরকিয়া।
শেষ পর্যন্ত ১১.৫ ওভারে মাত্র ৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন শামসি ও ইয়ানসেন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রাবাদা ও নরকিয়া।
সারাবাংলা/এফএম