‘চীন সফর সফল নয় যারা বলে, তাদের মানসিক অসুস্থতা আছে’
১৪ জুলাই ২০২৪ ১৬:৫৭
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর চীনের রাষ্ট্রীয় সফর সফল নয় বলে যারা প্রচার করছেন, তাদের এই কর্মকাণ্ডকে মানসিক অসুস্থতা বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সফরে চীনের সঙ্গে ২১টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি এবং সাতটি ঘোষণাপত্র সই করেছে বাংলাদেশ। দুটি চুক্তি নবায়নও করা হয়েছে। তারপরও যদি বলে সফর সফল হয়নি, তাহলে তো কিছু বলার নেই। এরা তো বলেছে, ভারতের সঙ্গে গোলামি চুক্তি করে এসেছি। এটা এক ধরনের অসুস্থতা বলেই মনে করি। তা না হলে তো এভাবে বানয়োট কথা বলতে পারে না। এটা নিয়ে কিছু বলার নেই।
রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চীন সফরে নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে ফেরা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা তো নতুন কিছু নয়। এর আগেও আমি অনেকবার সফরের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ হলেই দেশে ফিরে এসেছি। আমার বিকেলে দেশে ফেরার কথা ছিল, দেশে ফিরেছি ভোরের দিকে। এই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এত তোলপাড় হয়ে যাবে, বুঝতে পারিনি!
ভারতের গণমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সফল নয় উল্লেখ করে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শেখ হাসিনা বলেন, তারা বলে ভারতকে নাকি আমি সব দিয়ে এসেছি। তারা তো ভারতকে বিশ্বাস করে না। আবার কারা ভারতের পত্রিকার কথা উল্লেখ করে। তাহলে তাদের নীতিটা কী, সেটা বোঝা উচিত। এটা থেকেই বোঝা উচিত তাদের মানসিকতাটা কী।
বিরোধী সরকারের ভালো কিছুই দেখে না— এমন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার সবকিছুই তো খারাপ। দেশ নাকি ভালো চলছেনা, মানুষের সর্বনাশ হয়ে গেছে। মেট্রোরেলে বসে বসে তারা লেখে। মেট্রোরেল দ্রুত চলে আসে, এটাতাদের কাছে সর্বনাশ। গ্রামে বিদ্যুৎ গেছে, এটাও সর্বনাশ। গ্রাম শহর হয়ে গেছে, তাদের দৃষ্টিতে সেটাও সর্বনাশ। কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধ দেওয়া হয়, সেটাও সর্বনাশ।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাদের কাছে সবই সর্বনাশ। কারণ তারা দেশকে গরিব রাখতে চায়, তাতে মানুষকে গরিব দেখিয়ে তারা ভিক্ষা আনতে চায়। তাদের ইচ্ছা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা যাবে না, তাহলে খাদ্য ভিক্ষা চাওয়া যাবে না। আসলে ন্যূনতম দায়িত্ববোধ যদি থাকত, তাহলে কেউ এ রকম বলতে পারত না। কিন্তু চোখ থাকতেও অন্ধ আর কান থাকলেও বধির হয়ে থাকলে তো আর কিছু বলার নেই। আমিও এগুলো শুনতে শুনতে অভ্যস্ত।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর