‘দেশকে যারা অকার্যকর করতে চায়, তারা হামলা চালিয়েছে’
২৫ জুলাই ২০২৪ ২১:০২
বগুড়া: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান বগুড়ায় সহিংসতা ও নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পরিদর্শন করে বলেছেন, যারা বংলাদেশকে চায়নি, জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল এবং দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেতে চায় তারাই একত্র হয়ে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে।
এ সময় তার সঙ্গে পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে তিনি বগুড়া এসে নাশকতাকারীদের হাতে ক্ষতিগ্রস্ত বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ, জাসদ ও মক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়, ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
অগ্নি-সংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য এলাকায় যান। এ সময় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, ডা. মোস্তফা আলম নান্নু, সাহাদারা মান্নান, রেজাউল করিম তানসেন, খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী, বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসানসহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা, জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য পুলিশ কর্মর্কর্তা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি বগুড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় সভা শেষে কোটা আন্দোলন, সহিংসতাসহ সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর কোটা আন্দোলনকারীরা বিচারপতি ও সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে বলবে আমরা সন্তুষ্ট এবং আন্দোলন থেকে ফিরে গেলাম। তবে এরইমধ্যে অনেক জল গড়িয়েছে।’
‘কোটা আন্দোলনে ভর করে যারা বাংলাদেশকে চায়নি, যারা জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল এবং যারা সবসময় দেশকে অকার্যকর দেশে পরিণত করতে চেয়েছিল সেই দলগুলো একত্রিত হয়ে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে’ বগুড়াও সে থেকে রক্ষা পায়নি।
তিনি বগুড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের কমপ্লেক্স এবং বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল ভাঙচুরের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, ‘যারা স্বাধীনতা ও দেশ চায়নি তাদেরই এ ধরনের রাগ ক্ষোভ থাকতে পারে। আসলে তাদের মূল লক্ষ্য ছিল এই দেশকে অকার্যকর করা এবং দেশের অগ্রযাত্রা থামানো এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্মাৎ করা।’
কবে নাগাদ কারফিউ তুলে নেওয়া হবে সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই খুব শিগগিরই কারফিউ প্রত্যাহার হবে বলে আশা প্রকাশ করছি।’
সারাবাংলা/একে