ঢাকা: কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অফিসের ফাইলপত্র গায়েব এবং কোনো ধরনের ছুটির দরখাস্ত ছাড়াই অফিসে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের উপসচিব মো. আফজাল-উর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে বার কাউন্সিল থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে মূল্যবান নথি, মালামাল এবং ঘুষের টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বার কাউন্সিলের পলাতক উপসচিব মো. আফজাল উর রহমান, দারোয়ান মো. বদিউজ্জামান, মাসুম বিল্লাহ, অজ্ঞাত এক তালা খোলার মিস্ত্রির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
বার কাউন্সিলের সহকারী রেজিস্ট্রার শারমিন সুলতানা রাব্বি রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের উপসচিব মো. আফজাল-উর রহমানের বিরুদ্ধে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতির অভিযোগ করে অপসারণ দাবি করাকালীন সুপ্রিম কোর্টের কয়েক শ আইনজীবী ও ছাত্র-জনতা গত ১৩ আগস্ট দুপুরে অফিসে আসার আগেই তিনি খবর পেয়ে পালিয়ে যান। তখন আইনজীবীরা এবং অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার অফিস চেম্বারে তালা মেরে চাবি বার কাউন্সিলের সচিবের জিম্মায় রাখেন। বিষয়টি বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেলকে তাৎক্ষণিক অবহিত করা হয়। তারপর থেকে উপসচিব মো. আফজাল-উর রহমান ছুটি ছাড়া পলাতক থাকেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩২ মিনিটে মো. আফজাল-উর রহমান তার ব্যক্তিগত গাড়ি ঢাকা মেট্রো-গ ২৩-৫১৩৫ নম্বর গাড়িতে করে অফিসে এসে দারোয়ান বদিউজ্জামান ও মাসুম বিল্লাহর সহযোগিতায় বহিরাগত এক তালা খোলার একজন মিস্ত্রিকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম তলায় তার অফিস কক্ষে ঢুকে অফিসের সব মূল্যবান রেজ্যুলেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও বিভিন্ন মালামাল নিয়ে (ছোট-বড় মিলিয়ে পাঁচ বস্তা) নিয়ে দুপুর ১টা ৮ মিনিটে নিজ গাড়িতে করে পালিয়ে যান।
ওই পাঁচ বস্তার মধ্য সাম্প্রতিক নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে ঘুষ হিসেবে পাওয়া এক বস্তা টাকাও রয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।