বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনারের বৈঠক
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৯
ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিমশনার নারদিয়া সিম্পসন। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলের আন্তর্জাতিক সস্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ক্লিনটন পোবকে এবং প্রথম সচিব লারা অ্যাডামস।
বৈঠকের পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পাশাপাশি শেখ হাসিনার সরকার চলে যাওয়ার পরে আমরা কী ভাবছি এবং অন্তর্বতী সরকার কী রকম করছে এবং তাদের একমাস কেমন গেল, আগামী দিনে আমাদের কী প্রত্যাশা, বাংলাদেশের কী প্রত্যাশা ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের জিও পলিটিক্স এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়েয় আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতা এবং অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য কত সময় লাগতে পারে তারা (অস্ট্রেলিয়া) জানতে চেয়েছে। পাশপাশি নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কী কী পরিবর্তন দরকার, সেগুলো কীভাবে এগুচ্ছে, সে বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছে। মূলত সার্বিক আলোচনার পরে তাদের ধারণা যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে আগামীতে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।’
নির্বাচনের সময়ের বিষয়টি খোলাসা করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা যৌক্তিক সময়ের তো কথা বলেই যাচ্ছি। সময়ের যৌক্তিকতা এখানে যারা স্টেকহোল্ডার আছে তারা বিবেচনা করবে। একচ্যুয়েলি, আমরা একটা টাইম ফ্রেম বলছি ন। একটা সময় দিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাচ্ছি না।’
আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি সরকার সফলভাবে তাদের কাজগুলো করবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেমন নির্বাচন কমিশন চলে গেছে, নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। এর মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজটা শুরু হতে হবে। আমি নিশ্চিত সেই কাজগুলো তারা (অন্তবর্তী সরকার) খুব দ্রুত করবে। কারণ, একদিকে ফায়ার ফাইটিং করতে হবে এবং অন্যদিকে আমাদের দেশে যে প্রাতিষ্ঠিানিক সমস্যাগুলো হয়ে গেছে সেগুলো সমাধান করে নির্বাচনি কার্যক্রমের দিকে তাদের যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সকলের একই প্রশ্ন এই কাজগুলো কত তাড়াতাড়ি হবে, কতদিন লাগতে পারে এবং কবে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে আমরা অন্তবর্তী সরকারকে আমাদের পক্ষ থেকে সহায়তা করছি, সার্বিকভাবে সহায়তা করছি। কারণ, এটা সমস্ত জাতির প্রত্যাশা যে, এই সরকার জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সমর্থ হবে। আমরা এই সরকারকে সার্বিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি এবং দিয়ে যাব।’
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম