জাহাজভাঙা কারখানায় বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৩০
ঢাকা: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙা কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হাবিব (৩৬) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ঘটনাটিতে তিনজনের মৃত্যু হলো।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান খাইরুল। এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে মারা যান আহমেদ উল্লাহ (৩৮) ও রোববার রাতে মারা যায় খায়রুল শেখ (২১)
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দগ্ধ হাবিব চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা গেছেন। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বাকি পাঁচজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে তিনজনকে আইসিইউতে এবং দুইজনকে এইচডিইউ’তে রাখা হয়েছে। দগ্ধের পাশাপাশি তাদের সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।
বর্তমানে বরকত উল্লাহর শরীরের ৬০ শতাংশ, আনোয়ার হোসেন ২৫ শতাংশ, আল আমিন ৮০ শতাংশ, জাহাঙ্গীর আলম ৭০ শতাংশ, আবুল কাশেম ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে। এদের মধ্যে আনোয়ার ও হাবিব এইচডিইউতে আর বাকি ৩ জন আইসিইউতে রয়েছেন।
মৃত হাবিবের শ্যালক মো. হিমেল জানান, তাদের বাড়ির জামালপুর সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামে। হাবিবের বাবার নাম মৃত ফরিদ উদ্দিন। সীতাকুণ্ডের ওই কারখানায় কাজ করতেন হাবিব। থাকতেন কারখানার পাশের একটি মেসে। বিস্ফোরণে তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে শনিবার দিবাগত রাতে তাকে ঢাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরী মালিকানাধীন এসএন করপোরেশনের জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজের পাম্প রুমে কাটিং কাজ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গুরুতর দগ্ধ ও আহত হন ১২ জন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আটজনকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এসএসআর/ইআ