আগস্টে সড়কে ৪৭৬ প্রাণহানি, ৪৩ শতাংশ মোটরসাইকেলে
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:২৩
ঢাকা: আগস্ট মাসে সারা দেশে ৪৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৬ জন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৯৮৫ জন। দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে মোটরসাইকেলে— ১৯৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৬ জন নিহত ও ২০১ জন আহত হয়েছেন।
একই সময়ে রেলপথে ১০টি দুর্ঘটনায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন দুজন। অন্যদিকে ১৩টি নৌ দুর্ঘটনায় ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন দুজন ও নিখোঁজ আছেন ৯ জন। সব মিলিয়ে সড়ক, রেল ও নৌ পথে মোট দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৯০টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৩৪ জন এবং ৯৮৯ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আগস্ট মাসের দুর্ঘটনার এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ দুর্ঘটনার সংবাদ পর্যবেক্ষণ করে এ প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে ১৯৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৬ জন নিহত ও ২০১ জন আহত হয়েছেন। মোট দুর্ঘটনার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ৪১ দশমিক ৩২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দুর্ঘটনায় মোট প্রাণহানির ৪৩ দশমিক ২৭ শতাংশ।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলেছে, আগস্টে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২১ জন নিহত ও ২৬১ জন আহত হয়েছেন। বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৯৩ জন আহত হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৯০ জন চালক, ৭৫ জন পথচারী, ৩৯ জন পরিবহণ শ্রমিক, ৫৪ জন শিক্ষার্থী, একজন শিক্ষক, ৬৬ জন নারী, ৪৯ জন শিশু, তিনজন সাংবাদিক, একজন আইনজীবী এবং ১২ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন একজন পুলিশ সদস্য, ৭৬ জন বিভিন্ন পরিবহণের চালক, ৭৪ জন পথচারী, ৫৫ জন নারী, ৪৩ জন শিশু, ৩৩ জন শিক্ষার্থী, ১৭ জন পরিবহন শ্রমিক, একজন শিক্ষক, একজন সাংবাদিক, একজন আইনজীবী ও ১১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৪৫টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ৩১ দশমিক ৬৭ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২১ দশমিক ২০ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান ও লরি, ১০ দশমিক ৩৩ শতাংশ বাস, ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস।
সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪১ দশমিক ৫৪ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ৩৩ দশমিক ১৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ বিবিধ কারণে, শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ ট্রেন যানবাহনে সংঘর্ষ এবং চাকায় ওড়না পেচিয়ে শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, মোট দুর্ঘটনার ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২০ দশমিক ৭৭ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে ও ৩৯ দশমিক ১৮ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর