মোহাম্মদপুরে দুই গ্রুপের মারামারি, নিহত ২
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৮
ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দুই গ্রুপের মারামারি ঘটনায় নাসির বিশ্বাস (২২) ও মুন্না (২৩) নামে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় নাসিরকে স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ৯টার দিকে মারা যায়। আর মুন্না মারা যায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। পুলিশ বলছে, নিহত দুইজন একই গ্রুপের।
নিহতের বন্ধু মো. শাওন আহমেদ জানান, সে রায়েরবাজার এলাকায় ফোন ফ্যাক্সের ব্যবসা করেন। সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকা উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় নাসির এসে বলে তাকে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়ে নামিয়ে দিতে। সাদেক খান বাজার এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মারামারি হচ্ছে দেখতে পান। তখন সেখান থেকে এক যুবক এসে নাসিরের পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। তখন নাসির মোটরসাইকেল থেকে নেমে কবরস্থানের দিকে দৌড় দেন। কিছু যুবক তার পিছু নিয়ে কবরস্থানের এক নম্বর গেটের পাশে আবারও কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।
শাওন আরো জানান, আগে থেকেই ওই এলাকায় মারামারি চলছিল। তবে নাসিরকে কেন মেরেছে সে বিষয়ে কিছু জানা নেই তার।
নিহত নাসিরের বড় ভাই ইসলাম বিশ্বাস জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পশ্চিম বালিগ্রামে। ঢাকায় নাসির হাজারীবাগ রায়েরবাজার বাড়ৈইখালী ১২ নম্বর রোডে থাকতেন। সন্ধ্যার দিকে নাসির বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছিল। পরে জানতে পারেন কে বা কারা নাসিরকে কুপিয়েছে।
নিহত মুন্নার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা এলাকায়। তিনি নানীর পরিবারের সঙ্গে মোহাম্মদপুরের শংকরে থাকতেন। বাবার নাম বাবুল। মুন্নার আড়াই বছরের একটি মেয়ে আছে।
মুন্নার বাবা বাবুল জানান, ৯ মাস বয়সে মা মারা গেলে নানীর সঙ্গে শংকরে থাকতে শুরু করে মুন্না। সেখানেই বড় হয়ে বিয়ে করেছে। তার আড়াই বছরের একটি মেয়ে আছে।
তিনি বলেন, একদল লোক মুন্নাকে কুপিয়েছে এমনটা শুনে হাসপাতালে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তবে কি কারণে মেরেছে, সেটি বলতে পারেননি।
মোহাম্মদপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান জানান, দুই গ্রুপের মারামারি ঘটনায় নাসির ও মুন্না নামে দুই যুবক মারা গেছে। একজন মারা গেছে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে আর একজন মারা গেছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। তবে নিহত দুই যুবক একই গ্রুপের।
ধারণ করা হচ্ছে, পূর্বের কোনো বিরোধের জেরে তাদের দুইজনকে একসঙ্গে অপর গ্রুপের লোকজন দেখতে পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়া নিহত মুন্নার নামে ছয় থেকে সাতটি মামলার রয়েছে। বিস্তারিত ঘটনা জানার জন্য পুলিশ কাজ করছে।
সারাবাংলা/ইউজে/এসএসআর/ইআ