‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা প্রয়োজন’: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
১২ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৫৭ | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৩২
ঢাকা: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ‘আমরা একটা বিশেষ সময় পার করছি। আমরা একটা সংশয়ের মধ্যে ছিলাম যে, শারদীয় দুর্গোৎসবটা কিভাবে হবে। সরকার এ ব্যাপারে কনসার্ন ছিল- যাতে দুর্গোৎসব ভালো হবে উদযাপিত হয়, মানুষ যাতে আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করতে পারে। আমাদের প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। যাতে দুষ্কৃতিকারীরা কোনরকম দুষ্কৃত ঘটনা ঘটাতে না পারে। আশার কথা এখন পর্যন্ত সারাদেশের পরিস্থিতি ভালো। আশা করি আগামীকাল প্রতীমা বিসর্জন পর্যন্ত কোন অঘটন ঘটবে না।’
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুর্গাপূজা উপলক্ষে মানিকগঞ্জের সিংগাইরস্থ সানাইলে শ্রী শ্রী সার্বজনীন কালী মন্দিরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সমবেত ভক্ত ও পূজারীদের উদ্দেশ বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডক্টর কমল কান্তি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা এবং পুলিশ সুপার মোঃ বশির আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এ সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে বিশ্বাস করে। এ সরকার বিশ্বাস করে যে, ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয়। রাষ্ট্র সবার জন্য। রাষ্ট্রের কাছে সবাই নাগরিক। ফলে সকল নাগরিক সমান সুবিধা ভোগ করবে। সরকার নাগরিকদের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করবে। নাগরিকদের কাছেও সরকারের আকাঙ্ক্ষা থাকে। আমাদের মূল কালচার বা সংস্কৃতি হলো- সহনশীলতার সংস্কৃতি। উৎসবমুখর সংস্কৃতি। যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্মের লোকজন পাশাপাশি বসবাস করছে। ভাইয়ের মতো বসবাস করছে। একে অন্যের উৎসবে যোগ দিয়েছে। উৎসবকে সবাই উপভোগ করছে। আমরা চাই সে ঐতিহ্য বহমান থাকুক এবং আমাদের এই সম্প্রীতি ও সামাজিক সংহতি যেন দুষ্কৃতিকারীদের রুখে দিতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ সময় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সামাজিক সম্প্রীতি গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। এটি একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। কারণ শান্তি সম্প্রীতি না থাকলে দেশের উন্নতি হতে পারে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দিকে তাকালেই আমরা সেটা দেখতে পাই। দেশের সমৃদ্ধির জন্য আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা প্রয়োজন।’
সারাবাংলা/ জেআর/এসডব্লিউআর
ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার দুর্গাপূজা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা