‘আমাকে জোর করে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি বানানো হয়েছে’
১৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৫৫
রংপুর: জেলার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আলোচনা সভায় আওয়ামীপন্থী দুই শিক্ষককে সম্মাননা দেয়া নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম স্মারক প্রত্যাখ্যান করেন। সেই ঘটনা নিয়ে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক কমলেশ চন্দ্র রায়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থাকলেও তাকে জোর করে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি বানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জুলাই বিপ্লবে শহীদ আবু সাঈদসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, ‘আমাকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি বানানো হয়েছে। আমার সহকর্মী মশিউর রহমান আমাকে জোর করে সভাপতি বানিয়েছে। তিনি (মশিউর) নিজেই এটা সম্পাদনা করতেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন আমাকে শুধু উপস্থিত থাকতে, আর তিনিই সবকিছু দেখভাল করবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধু পরিষদের গঠনতন্ত্র সম্পর্কে কোন কিছু জানতাম না। কেন্দ্র থেকে কেউ কোন দিন আমাকে কোন কিছু জানায়নি। আমি জীবনে কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলাম না। আমার কোন উচ্চ ভিলাস নেই। তারপরেও স্বাক্ষর নিয়ে দূরভাগ্যক্রমে সে আমাকে এই সংগঠনের সাথে যুক্ত করে ফেলেছে। কেন্দ্র থেকে কেউ কোন দিন আমাকে বলেনি যে আপনি সভাপতি হচ্ছেন বা হবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫ই আগস্ট সরকার পতনের পর আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ বিষয় নিয়ে আমার সাথে বসেছিল। আমি সবার সামনে আমার অবস্থান ক্লিয়ার করেছি। সেদিনই আমি বঙ্গবন্ধু পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছি। শিক্ষক মশিউরসহ আবু সাঈদ হত্যার সাথে যারাই জড়িত দেশের আইন আদালত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে এটাই আশা করি।’
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন কমলেশ চন্দ্র রায় ও কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফ। তাদের দুজনকে সম্মাননা দেওয়ায় আপত্তি তোলেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার উসকানিদাতা ও ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এই দুই শিক্ষক। এ অভিযোগ শোনার পর নিজের সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
সারাবাংলা/এইচআই