বেঞ্চ পাচ্ছেন না হাইকোর্টের ১২ বিচারপতি
১৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৩৬ | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৩৫
ঢাকা: হাইকোর্টের ১২ বিচারপতিকে কোর্ট পরিচালনার জন্য বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। বুধবার (১৬ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভুঁইয়া হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ১২ জন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিকে বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। আর বিচারপতিদের অপসারণের কোনো বিধান এখন না থাকায় এ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের রিভিউটি আগামী ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগে ১ নম্বর আইটেম শুনানির জন্য থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মিছিল নিয়ে এসে বিচারপতিদের পদত্যাগে বিক্ষোভ মিছিল করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে চলা এই মিছিল-স্লোগানের মাঝেই বুধবার দুপুরে হাইকোর্টের কয়েকজন বিচারপতি প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এরপর বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা হাইকোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে এসে সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে ১২ জন বিচারপতির বিষয়ে ও রিভিউ শুনানির বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তের কথা জানান। এরপর শিক্ষার্থীরা কোর্ট প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
এদিন, দুপুর ১টা ৫৪ মিনিটে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের মিছিল সমাবেশ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে জানতে পেরেছি, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর ১২ জন বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের দফতরে ছয় জন বিচারপতি প্রধান বিচারপতির চায়ের দাওয়াতে আসেন। তারা হলেন- বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ মো. নুরউদ্দিন, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম।
হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ ওঠা হাইকোর্টের ১২ জন বিচারপতিকে চা পানের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
এদিন রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট মাজার গেট দিয়ে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে আসে। এর পর সেখানে শিক্ষার্থীরা বসে থেকে স্লোগান দিতে থাকেন। পাশেই আইনজীবীদের একাধিক সংগঠন ব্যানার নিয়ে দলবাজ ও দুর্নীতিগ্রস্ত বিচারপতিদের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারক’ উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার সকাল ১১টায় হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্টে দিয়ে এই কর্মসূচির ডাক দেন তারা। ফেসবুক পোস্টে তারা লেখেন, ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে আগামীকাল সকাল ১১টায় হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি।’
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম