Wednesday 16 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রবারণার ফানুসে রঙিন চট্টগ্রামের আকাশ

স্পেশাল করসপন্ডেন্ট
১৬ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৫১

চট্টগ্রাম: বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমায় ওড়ানো ফানুসের আলোয় আলোকিত হয়েছে চট্টগ্রামের আকাশ। দিনভর ধর্মীয় বিভিন্ন আচারের পাশাপাশি সন্ধ্যায় ফানুস উৎসবে মেতেছেন নানা বয়সের, নানা শ্রেণিপেশার সর্বস্তরের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ। উৎসবে শামিল হতে মন্দিরে-মন্দিরে সমবেত হয়েছেন অন্যান্য ধর্মাবলম্বী অনেকেও। এতে উৎসব বরাবরের মতো পেয়েছে সার্বজনীন রূপ।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরের নন্দনকাননের বৌদ্ধমন্দিরে ফানুস ওড়ানো হয়। বিকেল থেকেই এ মন্দিরে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে। সন্ধ্যার পর থেকে উপচে পড়া ভিড় তৈরি হয়েছে।

প্রতিবছর নন্দনকানন বৌদ্ধমন্দির থেকে ওড়ানো ফানুসে বিশ্বশান্তি কামনা, অসাম্প্রদায়িকতা, সম্প্রীতি এবং দেশ-বিদেশের সর্বসাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও ঘটনাবলী নিয়ে বার্তা উল্লেখ করা হয়। তবে এবার ফানুসে সে ধরনের কোনো লেখা দেখা যায়নি। রঙ-বেরঙের ফানুস আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে আকাশে উড়িয়েছেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। সন্ধ্যার আকাশে একের পর এক ওড়ানো ফানুস ভিন্ন আবহ তৈরি করে।

বৌদ্ধ তারুণ্য সংগঠন ‘সম্যক’র সভাপতি তুহিন বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিবছর আমাদের ফানুসে একটা মেসেজ থাকে। এবার দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা সেটা করিনি। আমাদের ওপর নির্দেশনা আছে, পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয় এমন কোনো ধরনের বার্তা যেন না লেখা হয়। তবে আমরা আনন্দের সঙ্গে ফানুস উড়িয়ে আমাদের উৎসব পালন করছি।’

নগরীর আসকার দিঘীর পাড় এলাকার বাসিন্দা প্রকৌশলী মনোজিৎ বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য প্রবারণা উৎসবের একটি ভিন্ন মাত্রিকতা আছে। আবহমান কাল থেকেই আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশে আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ নানা ধর্ম–বর্ণের মানুষ নানা বৈচিত্র্যময় ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকে ধারণ করে বসবাস করছি। এ এক অপূর্ব সংস্কৃতি ! প্রবারণা উৎসবের মধ্য দিয়ে আমরা সেই সার্বজনীনতার প্রকাশ ঘটাই। মৈত্রী, সম্প্রীতি, অসাম্প্রদায়িকতা— এ উৎসবের মূলমন্ত্র করে নিয়েছি আমরা।’

নন্দনকানন বৌদ্ধমন্দিরের মঞ্চে বিকেল থেকে প্রার্থনা সঙ্গীত পরিবেশন করছেন শিল্পীরা। পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সার্বিক নিরাপত্তায় টহল দিতে দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া নগরের কাতালগঞ্জের নবপণ্ডিত বিহার, পাথরঘাটা জেতবন শান্তিকুঞ্জ বিহার, ইপিজেড সর্বজনীন বৌদ্ধবিহার ও মৈত্রী বনবিহার, চান্দগাঁও সর্বজনীন বৌদ্ধবিহার, মোগলটুলী শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহার, বন্দর বৌদ্ধবিহারসহ প্রায় প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সকাল থেকেই নানা আয়োজন করা হয়েছে।

সারাবাংলা/আরডি/এইচআই

প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর