৭ মার্চ বাতিলের সিদ্ধান্তে সাইফুল হকের ক্ষোভ
১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৩৮ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৪৩
‘অপরাপর জাতীয় দিবসের সঙ্গে ৭ মার্চকে এক করে দেখা উচিত হয়নি। তাছাড়া ৭ মার্চে সরকারি কোন ছুটিও ছিল না।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাতিলের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
সাইফুল হক বলেন, ‘অন্যান্য জাতীয় দিবসের সঙ্গে ৭ মার্চ বাতিলের সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে অপ্রয়োজনীয় ও অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্কের মধ্যে ঠেলে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষ পরিবারকেন্দ্রীক কয়েকটি দিবসের সঙ্গে ৭ মার্চকে গুলিয়ে ফেলার কোন অবকাশ নেই। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন এবং তাদের গণহত্যার মত অপরাধের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও ৭ মার্চকে সম্পর্কিত করে দেখারও কোন সুযোগ নেই। ‘
সাইফুল হক আরও বলেন, ‘১৯৭১ এর অগ্নিঝরা উত্তাল সময়ে ৭ মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। যা মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ায় দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘সংবেদনশীল ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোন রাজনৈতিক অবস্থান ঘোষণা ও সিদ্ধান্ত নেবার আগে দেশের যে মানুষ, রাজনৈতিক দল ও সামাজিক অংশসমূহ অন্তর্বর্তী সরকারকে এককাট্টা সমর্থন জুগিয়ে আসছে তাদের মনোভাব, আকাঙ্ক্ষা ও আবেগ বিবেচনায় নেওয়া দরকার। ৫ আগস্ট ছাত্র, শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থান যে অসাধারণ গণ ঐক্য তৈরি করেছে এবং নতুন এক অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার অসীম সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে, রাজনৈতিক ইতিহাসের ভুল ও পক্ষপাতদুষ্ট ব্যাখ্যায় তা নষ্ট করা আত্মঘাতী হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ইতিহাসে যেমন অনেক অসাধারণ গৌরবজনক উত্তরাধিকার রয়েছে, তেমনি রয়েছে অনেক নির্মম নেতিবাচক উত্তরাধিকার। সবটাই আবার ইতিহাসের অংশ। ইতিহাসের নির্মোহ পর্যালোচনার ভিত্তিতেই স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র হিসেবে গণতান্ত্রিক ধারায় বাংলাদেশকে তার আগামীর পথ চলা নিশ্চিত করতে হবে। ‘
সারাবাংলা/ এএইচএইচ/এসডব্লিউআর