১০০ দিন পর জানা গেল লাশটি লিটনের নয়, অপহৃত আলমের
২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৩১ | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৪৪
বাগেরহাট : মরদেহ মৎস্যজীবী দলের নেতা মাহে আলমের। সমাহিত হয়েছে খ্রিস্টান ধর্মের লিটন নাথের পরিচয়ে। ঘটনার ১০০ দিন পর জানা গেল লাশটি লিটনের নয়, অপহৃত আলমের। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের মোংলায়।
জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের মোংলা উপজেলা সভাপতি মাহে আলমকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। হত্যার পর মরদেহ গুমের চেষ্টা করা হয়েছে। এ অভিযোগে মানববন্ধন করেছে নাগরিক সমাজ। সংবাদ সম্মেলন করে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে তার পরিবার।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে মোংলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত মাহে আলমের ছেলে সুমন রানা এ দাবি জানান।
এ সময় সুমন রানা বলেন, গত বছরের ১০ এপ্রিল তার বাবাকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। দেড় বছর পার হলেও হত্যার রহস্য উদঘাট হয়নি। জড়িতদের গ্রেফতারও করতে পারেনি পুলিশ।
তিনি জানান, পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে সুন্দরবনের করমজলে নিয়ে হত্যা করা হয় তার বাবাকে। ঘটনার পর থেকে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকায় অপরাধীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তার অভিযোগ, অপহরণের পর সিসি টিভি ফুটেজ নিয়ে মোংলা থানায় মামলা করতে গেলে তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিকাশ চন্দ্র ঘোষ মামলা নেননি। পরে আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রুজু হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সুমন রানা আরও জানান, তার বাবাকে অপহরণের তিনদিন পর গত বছরের ৭ এপ্রিল উপজেলার চিলা উনিয়নের বাসিন্দা হিলটন নাথ (২০) নিখোঁজ হন। এ ঘটনার পর ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় সুন্দরবনের করমজলে অর্ধ গলিত একটি মরদেহ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া মরদেহ হিলটন নাথের বলে দাবি করে পরিকল্পিতভাবে সমাহিত করা হয়। তিন মাস ১০দিন পর প্রমাণ হয় হিলটন নাথ পরিচয়ে যাকে সমাহিত করা হয়েছে তিনি হিলটন নাথ নয়, ওই মরদেহ নিখোঁজ হওয়া মাহে আলমের।
সুমন বলেন, পুলিশ মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন গোপন করেছে। রাজনৈতিক কারণে তার বাবার মরদেহ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেন নাগরিক সমাজ ও স্বজনরা।
সারাবাংলা/এসআর