বাগেরহাটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয়কেন্দ্র
২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:০৩
বাগেরহাট: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবেলায় উপকুলীয় জেলা বাগেরহাটে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।
দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র, সেচ্ছাসেবক ও শুকনো খাবার।ঝড়ের প্রভাব বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত থেকে জেলায় থেমে থেমে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকে আকাশ মেঘলা, হাওয়ার গতি কিছুটা বেড়েছে।
জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সাধারণ মানুষকে আশ্রয় দিতে জেলার ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে প্রায় দুই লাখ ৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া উপকুলীয় এলাকার মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে আড়াই হাজারের বেশি রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত করেছে জেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে শুকনা খাবার। নগদ টাকা ও চাল মজুদ রাখা হয়েছে।’
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ হারবার মাষ্টার কমান্ডার সাইফুর রহমান ভূইয়া বলেন, ‘বন্দরে অবস্থানরত ২টি জাহাজে চীন থেকে আমদানি হওয়া সার খালাস বন্ধ রয়েছে। এছাড়া আরও ৫টি জাহাজে পন্য খালাস বৃষ্টির কারণে ব্যহত হচ্ছে। পণ্য খালাস বন্ধ থাকা জাহাজ ২টি হচ্ছে- চীনা পতাকাবাহী ‘গ্রেড বিউটি’ এবং হংকং পতাকাবাহী ‘হুয়া ইয়ং মেই গুই’।’
বুধবার (২৩ অক্টোবর) থেকে আবহাওয়া অফিসের সাথে মিল রেখে মোংলা বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-১ জারি করেছে। আবহাওয়া অফিসের দেওয়া সংকেতের সাথে মিল রেখে মোংলা বন্দর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
জেলা মৎস্যজীবী সমিতির নেতা শেখ ইদ্রিস আলী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা কূলে ফিরতে শুরু করেছে। দূর্যোগকালীন সময়ে সাগরে মাছ ধরা জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগের আধুনিক ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী বলেন, ‘জেলায় ৩৩৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ৩৫/১ পোল্ডারের ৬৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কাজ হয়েছে। এই ৬৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের দুই কিলোমিটার ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা সেগুলোর জন্য পর্যাপ্ত জনবল ও জিওব্যাগ প্রস্তুত রেখেছি।’
সারাবাংলা/এনজে