ঢাকা: ২০১৭-২০২৩ পর্যন্ত এমসিকিউ পরীক্ষায় যারা পাশ করা সত্ত্বেও লিখিত পরীক্ষায় দুর্নীতির কারণে বেকার, পরিচয়হীন, সম্মানহীন ৭০ হাজারের বেশি আইনজীবী মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি করা শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।
রোববার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অন্তর্বতীকালীন প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে দাবি পেশ করেন ফোরামের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষানবিশ আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন। সম্মেলনে ফোরামের সদস্য সচিব মামুন হোসেন, সমন্বয়ক চৌধুরী হৃদয়, ও তরিকুল ইসলামসহ অনান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে বলেন, বিগত সরকারের আমলে লিখিত পরীক্ষায় টাকার বিনিময়ে বার সনদ পাইয়ে দেওয়ার একাধিক প্রমাণও রয়েছে। বার কাউন্সিলের দুর্নীতিবাজ উপসচিব আফজালুর রহমান টাকা এবং অবৈধ সনদসহ গত মাস সেপ্টেম্বরে বার কাউন্সিল থেকে পালিয়ে গেছেন।
তারা বলেন, তিন হাজারের বেশি ভুয়া আইনজীবী এই লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে করে সনদ পেয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা সমাজের সবথেকে অবহেলিত, উচ্চশিক্ষিত বেকার। যারা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে আছেন। একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী সারাদিন কোর্টে কাজ করে পান ১০০ থেকে ২০০ টাকা যা দিয়ে তাদের জীবিকানির্বাহ কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও কোর্টে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদেরকে বাথরুম, লিফট এবং বসার জন্য চেয়ার ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হয় না। এই বৈষম্যের কারণে অনেক শিক্ষানবিশ আইনজীবী হতাশ হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন, অনেকের সংসার ভেঙ্গে গেছে, অনেকে অন্য পেশায় চলে গেছেন বাধ্য হয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে তাদের পাঁচ দফা দাবিতে বলা হয়-
১, বিতর্কিত লিখিত পরীক্ষা বাতিল।
২, প্রতিবছর জানুয়ারী ও জুলাইতে এমসিকিউ এবং মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে সনদ দিতে হবে।
৩, একবার এমসিকিউ পরীক্ষায় পাশ করলে পুনরায় আর পরীক্ষায় বসতে হবে না। সরাসরি মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবে।
৪, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন থেকে প্রত্যাহার করে বার কাউন্সিলের অধীনে প্রশ্ন তৈরী ও পরীক্ষা নিতে হবে।
৫, এমসিকিউ পরীক্ষার মান ৪০ এবং কোনো নেগেটিভ মার্ক থাকবে না।