নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ: আগুনে দগ্ধ দুই ভাইয়ের পর বোনের মৃত্যু
২৯ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৫৯
নারায়নগঞ্জ: জেলার রূপগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধের ঘটনায় দুই ভাইয়ের পর বোন তাসলিমা আক্তার (৯) চিকিৎসাধীন বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা গেছে। এই ঘটনায় তিনজন মারা গেল।
মঙ্গলবার (২৯অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যায় তাসলিমা। এর আগে, ভোর পৌনে ৬টার দিকে ইসমাইল (১১) ও সকাল ৯টার দিকে সোহেল মিয়া (২০) চিকিৎসাধীন মারা যায়।
জাতীয় বার্ন ইউনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘রূপগঞ্জ থেকে আসা একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে তাসলিমা নামে আরও একজন মারা গেছে। তার শরীরের ৬৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সকালে মারা যাওয়া সোহেলের শরীরের ৭০ শতাংশ ও ইসমাইলের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।’
আহতদের মধ্যে বাবা বাবুল ৬৬ শতাংশ, মা সেলি বেগম ৩০ শতাংশ ও সোহেলের স্ত্রী মুন্নি ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে। তবে তাদের সবার অবস্থা আশংকাজনক।
এর আগে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রূপগঞ্জ ডহরগাঁও গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
দগ্ধ বাবুলের চাচাতো ভাই এনামুল হক বলেন, ‘তাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার সুজাপুর গ্রামে। বর্তমানে নারায়নগঞ্জ রূপগঞ্জ থানার ডহরগাঁও এলাকার ওই বাসায় নিচতলায় ভাড়া থাকতো। বাবুল রাজ মিস্ত্রীর কাজ করে। স্ত্রী সেলি ও ছেলে সোহেল পোশাক কারখানায় কাজ করে। সোহেলের স্ত্রী মুন্নি গৃহীনি। এবং ইসমাইল ও তাসলিমা বাসাতেই থাকতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা ওই বাসার পাশাপাশি রুমে ছিল। তাদের ঘরে গ্যাসের জন্য কম্প্রেসার মেশিন লাগানো ছিল। সেদিন রাতে তারা খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পরেছিল। হঠাৎ কম্প্রেসার মেশিন বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তারা ছয়জন দগ্ধ হয়। পরে প্রতিবেশীরা তাদেরকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। তবে কি কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারে নাই।’
সারাবাংলা/এসএসআর/এইচআই