দেশে এখন সবুজ কারখানা ২৩০টি
৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৫৯
ঢাকা: আরও একটি পোশাক কারখানা সবুজ কারখানার (গ্রিন ফ্যাক্টরি) তালিকায় যুক্ত হলো। এ নিয়ে দেশে এখন সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ২৩০টি। নতুন করে তালিকায় যুক্ত কারখানাটি গাজীপুরের কটন ফিল্ড বিডি লিমিটেড এডমিন বিল্ডিং।
রোববার (৩ নভেম্বর) পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজিএমইএ’র প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে এই অগ্রগতি অর্জনে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘এই অসাধারণ অগ্রগতি টেকসই উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম, তারই ইঙ্গিত বহন করে।’
ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন (এলইইডি) গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার সার্টিফিকেশন দিয়ে থাকে। গেল বছর ২০০ সবুজ কারখানার মাইলফলক অর্জন করে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে দেশের পোশাক খাতও নতুন মাইলফলক স্পর্শ করে।
ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) তথ্যমতে, দেশে এখন সবুজ কারখানা ২৩০টি। এর মধ্যে প্লাটিনাম ক্যাটাগরির ৯২টি, গোল্ড ১২৪টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড ক্যাটাগরির চারটি। এ ছাড়া, ৫৫০টির বেশি কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরি হতে রেজিস্ট্রেশন বা পাইপলাইনে রয়েছে।
বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ রেটযুক্ত লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ৬২টিই বাংলাদেশে। শুধু তাই নয়, শীর্ষ ১০টির মধ্যে নয়টি এবং সর্বোচ্চ রেটপ্রাপ্ত শীর্ষ ২০টি লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ১৮টি বাংলাদেশে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি কারখানা এস. এম. সোর্সিং লিমিটেড ১০৬ স্কোর করে বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ রেটযুক্ত লিড গ্রিন কারখানা হিসাবে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে।
আর বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি লিড গ্রিন কারখানার তালিকায় চীনের তিনটি, ভারতের সাতটি, ভিয়েতনামের তিনটি, পাকিস্তানের আটটি, তাইওয়ানের চারটি, শ্রীলঙ্কার চারটি, মিয়ানমারের দু’টি, ইন্দোনেশিয়ার একটি, ইতালির একটি, মেক্সিকোর একটি, পোল্যান্ডের একটি, প্যারাগুয়ের একটি, রোমানিয়ার একটি এবং আরব আমিরাতের একটি কারখানা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বে সবুজ কারখানার তালিকায় বাংলাদেশের পরের অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম