কমলার ইতিহাস নাকি ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন?
৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০০
সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বৈশ্বিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট গত কয়েক দশকে অনেক বদলে গেলেও সুপারপাওয়ার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। দেশে দেশে যখন যুদ্ধ আর সংঘাত চলছে, সে পরিস্থিতির ওপরও এই যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচনের প্রভাব নেহায়েত কম নয়। কে নির্বাচিত হবেন প্রেসিডেন্ট— তার ওপর বিভিন্ন দেশে চলমান যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি।
এমন সংঘাতময় সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুখোমুখি হয়েছেন প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট দলের কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজ মাড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে দুজনেরই। কমলা বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রানিং মেট, তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে চার বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।
এবারও রীতি অনুযায়ী নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার আজ ৫ নভেম্বর মুখোমুখি কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র সময় অনুযায়ী আর কয়েক ঘণ্টা পরই শুরু হবে দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়ার এই নির্বাচন। কমলা হ্যারিস কি পারবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়তে? নাকি ট্রাম্প তার কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস লিখবেন?
এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য ভোটগণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। কেননা ভোটপূর্ব যত জরিপ চালানো হয়েছে, তাতে কমলা আর ট্রাম্পের মধ্যে ব্যবধান সামান্যই— মাত্র ১ শতাংশ ভোটার সমর্থনে এগিয়ে কমলা। এসব জরিপই চূড়ান্ত ফল নয়। আবার জরিপগুলোর নির্ভরযোগ্যতাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে এবারের নির্বাচনকেই সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনে করা হচ্ছে, যেখানে দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আশা করছেন সবাই।
দীর্ঘ নির্বাচনি প্রচার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। প্রথমে প্রার্থীদের নিজ দলের মধ্যেই রাজ্যগুলোতে জয়ী হয়ে আসতে হয় প্রাইমারি ও ককাসের মাধ্যমে। সেখান থেকে তালিকা ছোট হয়ে এলে জাতীয় কনভেনশনের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয় চূড়ান্ত দলীয় প্রার্থী। সে হিসাবে নির্বাচনের প্রায় এক বছর আগে থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতেই সারা দেশ সফর করতে হয় প্রার্থীদের।
এরপর শুরু হয় নির্বাচনি প্রচার। ৫০টি রাজ্যের প্রায় সবগুলোতেই প্রার্থীরা সভা-সমাবেশ করার চেষ্টা করেন। যেসব রাজ্য বড়, সেগুলোর দিকে প্রার্থীদের নজর বেশি থাকে। তবে তুলনামূলকভাবে ছোট রাজ্যগুলোকেও সাধারণত অগ্রাহ্য করেন না প্রার্থীরা।
যুক্তরাজ্যের বেশির ভাগ রাজ্যে ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান দলের প্রতি ভোটারদের সমর্থন আগে থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়। বাকি যেসব রাজ্যে সুনির্দিষ্ট কোনো দলের সমর্থন থাকে না, সেগুলো শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের জয়-পরাজয় নির্ধারক হয়ে ওঠে। এসব রাজ্যকে বলা হয় সুইং স্টেট বা ব্যাটলগ্রাউন্ড।
এবারের নির্বাচনে ব্যাটলগ্রাউন্ড বা সুইং স্টেট সাতটি রাজ্য— অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভ্যানিয়া, উইসকনসিন। নির্বাচনি প্রচারের শেষ কয়েক দিন এই সাতটি রাজ্যই চষে বেড়িয়েছেন কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। চেষ্টা করেছেন সব ধরনের ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে।
ইলেকটোরাল কলেজের খেলা
মার্কিন নির্বাচনে সারা দেশ মিলিয়ে প্রার্থীর ভোট বেশি পাওয়া মানেই নির্বাচনে সুনিশ্চিত জয় নয়। চূড়ান্ত জয় নির্ধারণ করে ইলেকটোরাল কলেজ। প্রতিটি রাজ্যেই ভোটারের সংখ্যানুপাতে নির্দিষ্টসংখ্যক নির্বাচনমণ্ডলী নির্ধারণ করে দেওয়া থাকে, যাদের বলা হয় ইলেকটোরাল কলেজ। ক্যালিফোর্নিয়ায় সর্বোচ্চ ৫৪টি এবং ভায়োমিং, আলাস্কা, নর্থ ডাকোটা ও ওয়াশিংটন ডিসির মতো কম জনসংখ্যার রাজ্যে অন্তত তিনটি করে ইলেকটোরাল কলেজ আছে। সব মিলিয়ে এর সংখ্যা ৫৩৮। কোনো প্রার্থীকে জয় পেতে হলে এর অর্ধেকের বেশি ইলেকটোরাল কলেজ পেতে হবে, যেটি সংখ্যায় ২৭০টি। একেই বলা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ম্যাজিক ফিগার।
নেব্রাস্কা ও মেইন অঙ্গরাজ্য ছাড়া বাকি প্রায় সব রাজ্যেই ইলেকটোরাল কলেজের পদ্ধতি হলো— ‘উইনার টেকস অল’। অর্থাৎ রাজে যে প্রার্থী বেশি ভোট পাবে, সেই প্রার্থী সবগুলো ইলেকটোরাল কলেজই পাবে। যেমন, ক্যালিফোর্নিয়াতে যদি কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট পান এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যদি ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটও পান, তাহলেও রাজ্যের ৫৪ ইলেকটোরাল কলেজের সবগুলোই বিজয়ী প্রার্থী পাবেন। বিজয়ীর ভোটের ব্যবধান বেশি হলেও কোনো পার্থক্য হবে না।
এ কারণেই বড় রাজ্যগুলো, যেগুলোতে ইলেকটোরাল কলেজ বেশি, সেসব রাজ্যে প্রার্থীদের মনোযোগ বেশি থাকে। পাশাপাশি বেশি মনোযোগ থাকে ব্যাটলগ্রাউন্ডে। কেননা, এবারের যে সাতটি রাজ্যকে ব্যাটলগ্রাউন্ড বলা হচ্ছে, এদের সম্মিলিত ইলেকটোরাল কলেজ ৯৩টি, যা সহজেই ভোটের চিত্রকে পালটে দিতে পারে।
দুই প্রার্থীর পররাষ্ট্রনীতি
মার্কিন নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্বের আগ্রহের কেন্দ্রে যে জায়গাটি, সেটি এই পররাষ্ট্রনীতি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কিংবা ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিন, লেবানন ও ইরানের যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি কেমন হবে, এই নির্বাচনে জয়ী প্রার্থী তা অনেকটাই নির্ধারণ করে দিতে পারবেন।
দুই প্রার্থীর মধ্যে কমলা ইউক্রেনকে যতদিন প্রয়োজন সমর্থন দিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। নির্বাচিত হলে চীন নয়, ২১ শতকের প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রই জিতবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
কমলা দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইল ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে সোচ্চার। নির্বাচনি প্রচারের শেষ দিকে এসে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছেন জোরেশোরেই।
পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অবস্থান কিছুটা বিচ্ছিন্নতাবাদী। তার নীতি ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বা সবার আগে আমেরিকার স্বার্থ। ফলে তিনি খুব প্রয়োজন না হলে বিশ্বের অন্যান্য স্থানের সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে রাখতে চান।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানবেন। ডেমোক্র্যাটদের দাবি, এ পদক্ষেপ ভ্লাদিমির পুতিনকে আরও শক্তিশালী করবে। অন্যদিকে ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক হিসেবে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন কীভাবে, এ নিয়ে তাকে বিশেষ কিছু বলতে শোনা যায়নি।
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কার কী নীতি
মূল্যস্ফীতি, কর, গর্ভপাত, অভিবাসন, বাণিজ্য ও জলবায়ু— এই বিষয়গুলো এবারের মার্কিন নির্বাচনে ভোটারদের কাছে গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। এসব ইস্যুতে কোন প্রার্থী কী নীতি গ্রহণ করেছেন এবং কী কী অঙ্গীকার করেছেন, তার ওপর ভোটের ফলাফল অনেকটাই নির্ভর করবে।
মূল্যস্ফীতিকে দুই প্রার্থীই যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন নির্বাচনি প্রচারে। কমলা হ্যারিস বলেছেন, প্রথম দিন থেকেই তার অগ্রাধিকার হবে শ্রমজীবী পরিবারের জন্য খাদ্য ও বাসস্থানের খরচ কমানো। নিত্যপণ্যের মাত্রাতিরিক্ত দাম নির্ধারণের প্রবণতা বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। ট্রাম্পও মূল্যস্ফীতি কমিয়ে সবকিছু মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার অঙ্গীকার করেছেন। তার ভাষায়, ‘মেক আমেরিকা অ্যাফোর্ডেবল এগেইন’।
বড় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও বছরে চার লাখ ডলারের বেশি আয় করা আমেরিকানদের ওপর কর বাড়াতে চান কমালা হ্যারিস। তবে কোনো পরিবারের করের বোঝা লাঘব করতে সন্তানের বিপরীতে কর ছাড়ের ব্যবস্থা রাখার কথা বলেছেন তিনি। ট্রাম্পও বিপুল পরিমাণ করছাড় দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছেন। একে তার ২০১৭ সালের করহ্রাসের নীতিরই বর্ধিত রূপ বলা চলে, যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধনীদেরই সহায়তা করেছে।
গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে শুরু থেকেই সোচ্চার কমলা। সারা দেশের জন্য অভিন্ন প্রজনন অধিকার সুরক্ষা আইনের পক্ষে কথা বলছেন তিনি। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের সময়ে নিয়োগ দেওয়া তিন বিচারকের হাতেই গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল হয়। এবারও ট্রাম্প এই ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারেননি, যা নারী ভোটারদের তার থেকে দূরে ঠেলে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তের সংকট সামাল দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কমলা হ্যারিসকে। তিনি কোটি কোটি ডলার অনুদান সংগ্রহে ভূমিকা রাখেন, যার মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে বিনিয়োগ করে উত্তর অংশ অভিমুখে স্রোত ঠেকানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০২৩ এর শেষ নাগাদ মেক্সিকো থেকে রেকর্ডসংখ্যক লোক প্রবেশ করলেও পরে সংখ্যাটি কমে আসতে থাকে। এদিকে ট্রাম্প এবার জিততে পারলে সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের কাজ শেষ করতে চান। সেই সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে আরও বেশি করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের অঙ্গীকার করছেন তিনি।
নির্বাচনি প্রচারে ট্রাম্প অঙ্গীকার করেছেন, বেশির ভাগ বিদেশি পণ্যে নতুন করে ১০ থেকে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। চীনা পণ্যে সেই হার হবে আরও বেশি। এই পরিকল্পনার সমালোচনা করছেন কমলা। তিনি আমদানির ওপর কর আরোপের ক্ষেত্রে আরও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চান।
জলবায়ু ইস্যুতে কোনো প্রার্থীর অবস্থানেই পরিবেশ অধিকার কর্মীরা সন্তুষ্ট নন। এর আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মূলস্ফীতি কমানোর আইন পাসে ভূমিকা রেখেছিলেন কমলা, যাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বিদ্যুৎচালিত যানবাহন খাতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক প্রণোদনা মিলবে। কিন্তু তিনি আবার ‘ফ্র্যাকিং’ পদ্ধতিতে খননের মাধ্যমে তেল-গ্যাস উত্তোলনে বিরোধিতা থেকে সরে এসেছেন। পরিবেশবাদীরা এই পদ্ধতির ঘোর বিরোধী।
এদিকে ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে থাকার সময়ই পরিবেশ সুরক্ষার বহু উদ্যোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এবারের প্রচারে নির্বাচিত হলে তিনি জ্বালানির জন্য উত্তর মেরুতে খনন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আবার ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে কথা বলছেন।
কে হাসবেন শেষ হাসি?
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে হোয়াইট হাউজের দরজা কার জন্য খুলবে, তা জানার আর খুব বেশি সময় বাকি নেই। এর আগ পর্যন্ত হিসাব যা বলছে, প্রায় সব জরিপেই কমলা ও ট্রাম্পের মধ্যে ব্যবধান একেবারেই নগণ্য।
ভোটের এক মাস আগেই দুই প্রার্থী অনেক রাজ্যেই প্রতিপক্ষের চেয়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ সমর্থনে এগিয়ে থাকলে ভোট এগিয়ে আসতে আসতে সেই ব্যবধান কমেছে। সার্বিক হিসাব বলছে, ৪৮ শতাংশ ভোটার সমর্থন নিয়ে জরিপে এগিয়ে রয়েছেন কমলা হ্যারিস, ট্রাম্পের পক্ষেও সমর্থন ৪৭ শতাংশ। অর্থাৎ কমলা এগিয়ে রয়েছেন মাত্র ১ শতাংশ ভোটে। ফলে দুজনের লড়াইটা হবে হাড্ডাহাড্ডি।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা, রয়টার্স, গার্ডিয়ান
সারাবাংলা/টিআর
কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাট পার্টি ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২০ রিপাবলিকান পার্টি