‘বইয়ের লাইন সংস্কার করলেই তাকে সংস্কার বলে না’
৫ নভেম্বর ২০২৪ ২২:১১ | আপডেট: ৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৪৪
যশোর: শুধু বইয়ের কিছু লাইন সংস্কার করলেই তাকে সংস্কার বলে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান। তিনি বলেন, যে সংস্কার করলে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে, সুশিক্ষা নিশ্চিত হয়, তাকে আমি বলি সংস্কার।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) যশোরের টাউন হল মাঠে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভায় আয়োজন করা হয়। সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ২২ মিনিটের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান দেশ, সরকার, বর্তমান পরিস্থিতি ও বিএনপির আগামী দিনের কর্মসূচি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। বিএনপি তার ৩১ দফার আলোকে দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কাজ করে যাচ্ছে। মরহুম তরিকুল ইসলামও আমৃত্যু মা, মাটি ও মানুষের মুক্তির সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। আজকের নতুন প্রজন্মকে তরিকুল ইসলামের রাজনৈতিক জীবন ও শিষ্ঠাচার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। ব্যক্তিগত লাভাবান বা অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে যিনি বা যারা রাজনীতি করেন বা করেছেন তাদের পরিণতি দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। পতিত স্বৈরাচার ফ্যাষ্টিদের পরিণতি কি হতে পারে তা দেশের মানুষ ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে উপলব্ধি করেছে। তাই আগামীর বাংলাদেশ হতে হবে শোষন, নির্যাতন ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের ও গণবিপ্লবের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে ঐক্যবদ্ধতার কোন বিকল্প নেই।
বিকেলে সভা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও দুপুর ১২টার পর থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা দলে দলে আসতে থাকেন সভাস্থলে। একপর্যায়ে সভা বৃহৎ সমাবেশে রূপ নেয়।
সভায় যোগ দেওয়া নেতাকর্মীরা বলেন, সারাদেশের মতো যশোরসহ খুলনা বিভাগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা দলকে নতুন দেশের নের্তৃত্ব আনার জন্য সংগঠিত হচ্ছে।
সভায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের বক্তব্য রাখার এক পর্যায়ে ঠিক বিকাল ৪টায় ভার্সুয়ালি যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, খুলনা জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান খান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।
সারাবাংলা/এইচআই