‘এ বছর ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বেশি রফতানি হয়েছে’
১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৩১ | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৪৩
ঢাকা: গত বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার রফতানি বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন।
রোববার (১০ নভেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
শ্রম অসন্তোষের ফলে রফতানিতে কোনো প্রভাব পড়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইপিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা প্রতি মাসে রফতানির ডাটা দিয়ে থাকি, আজকে একটা আপডেট দেওয়া হয়েছে। আমাদের ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে রফতানি হয়েছিল ২.৭ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২৪ সালের অক্টোবরে দাঁড়িয়েছে ৩.৩ বিলিয়ন ডলার। তারমানে আমাদের রফতানি গত বছরের তুলনায় প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের মতো বেড়েছে।
তিনি বলেন, গতবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রফতানি হয়েছে ১১.৫ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২৪ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রফতানি হয়েছে ১২.৮ বিলিয়ন ডলার। সে হিসেবে আমাদের ১.৩ বিলিয়ন ডলার বেশি রফতানি হয়েছে। আমাদের ২৩ শতাংশ গ্রোথ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের ২১৪০ টি কারখানার মধ্যে ২১৩০ টি কারখানা চালু রয়েছে। বাকিগুলো কোনটিই একেবারে বন্ধ হয়নি। দুই একটা কারখানা দুই একদিন বন্ধ থাকে আবার চালু হয়। শুধু টিএনজেড ও নেক্সাসসহ চারটি কারখানা বন্ধ। আর বাকিগুলো সব চালু আছে। উদ্যোক্তাদের নানা সমস্যার কারণে বন্ধ থাকতে পারে। আগেতো এর থেকে বেশি বন্ধ থাকতো।
ভূয়া ডাটা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ডাটাতে আর কারচুপি হবে না। ভূয়া উন্নয়নে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা কি অবস্থায় আছি সেটা আমরা আপনাদেরকে দেখাবো। আমাদের পরিসংখ্যান যে বিভাগ আছে তাদের প্রধান উপদেষ্টা দিক নির্দেশনা দিয়েছেন যেটা ফেক্ট সেটাই যেন দেখানো হয়। বাড়িয়ে উন্নয়ন দেখিয়ে স্বপ্নের মধ্যে রাখার কোনো মানে হয় না। আমরা যখন বস্তবে আছি তখন আমাদের বাস্তবতার কথাগুলো বলতে হবে।
সরকারের কাছে মালিকদের কোনো চাওয়া পাওয়া আছে কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. হাতেম আলী বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ব্যাংক। ব্যাংক থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের চেক ফেরত দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ব্যাংকে টাকা আছে কিন্তু ১০-১২টি ব্যাংক থেকে আমরা সম্পূর্ণ অসহযোগীতা পাচ্ছি। আমাদের চেকগুলো ফেরত দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসকের সহযোগীতা পাওয়া যাচ্ছে। হাতেগোনা কয়েকটি কারখানায় কিছু বেতনের ইস্যু ছাড়া আর কোন বিষয় না।
সারাবাংলা/জেআর/এমপি