কীটনাশকে ফুলকপির সর্বনাশ, ক্ষতিপূরণ পেলেন ১৩ কৃষক
১৪ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৩২
রাজশাহী: রাজশাহীতে ক্ষেতে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফুলকপির ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন ১৩ কৃষক। ব্লেসিং অ্যাগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ এই ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। এই কোম্পানির নিউজিম নামের কীটনাশক ব্যবহার করে ফুলকপি নষ্ট হয়ে যায়। ক্ষতিপূরণের দাবিতে কৃষকরা মানববন্ধন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপিও দেন।
দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া, গগনবাড়িয়া, সাকোয়া গ্রামের ১৩ কৃষককে ১৪ লাখ ২১ হাজার ৭০ টাকা দেওয়া হয়েছে। যদিও কৃষকরা দাবি করছেন তাদের ক্ষতি হয়েছে ৩৫ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা। মোট ৪৬৯ শতক জমিতে ফুলকপি লাগানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) উপজেলা মিনি কনফারেন্স রুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভীন, উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ হোসাইন, ব্লেসিং গ্রুপের হেড অব বিজনেস আল আমিন, ব্লেসিং গ্রুপের ডিজিএম মোজাম্মেল হোসেন, ব্লেসিং গ্রুপের আরএসএম জহুরুল হক ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকগণের উপস্থিতিতে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়।
এর আগে, রোববার (১০ নভেম্বর) ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসেন কোম্পানির প্রতিনিধিরা। সেই আলোচনার ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন : ‘ছত্রাকনাশক’ ব্যবহারে ফসলের সর্বনাশ, ৩৫ লাখ টাকার ফুলকপি নষ্ট
সর্বস্বান্ত হয়ে কৃষকেরা নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন বারবার ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর ফলশ্রুতিতে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তৎপরতায় কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিঘা প্রতি ১ লাখ টাকা হারে ১৩ জন কৃষকের মাঝে ১৪ লাখ ২১ হাজার ৭০ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয় কোম্পানির কাছে থেকে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের হাতে কোম্পানির প্রতিনিধিরা আনুপাতিক হারে ভর্তুকি প্রদান করে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন। একই সাথে সারাদেশ থেকে এই প্রোডাক্ট উঠিয়ে নেন তারা।
ব্লেসিং গ্রুপের হেড অফ বিজনেস কৃষিবিদ আল আমিন জানান, আমরা কখনও চায়নি কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। এই পণ্যটি অতীতে ব্যবহার করে অনেকে ভালো ফলাফল পেয়েছেন। দুর্ঘটনার কোন কারণে হয়তো এমনটি ঘটেছে। আমাদেও সংগ্রহ থেকে এগুলো সরানো হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোন সমস্যা পেলে বাজারজাত বন্ধ করা হবে।
সারাবাংলা/এসআর