সাংবাদিকের বাসার গ্রিল কেটে সোনার অলংকার ও টাকা চুরি
১৫ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:১১
ঢাকা: রাজধানীর সূত্রাপুরে এক সাংবাদিকের বাসার গ্রিল কেটে ২০ ভরি সোনার অলংকার এবং নগদ আড়াই লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে দুবর্ত্তরা। গৌতম চন্দ্র ঘোষ নামের ওই সাংবাদিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর.কমের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। বৃহস্পতিবার সূত্রাপুরের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের রুপলাল দাস লেনের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সূত্রাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন গৌতম চন্দ্র ঘোষ।
তিনি অভিযোগে বলেন, ‘গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে আমার ২৩/সি রুপলাল দাস লেনস্থ ভাড়াবাসা (২য় তলার ফ্ল্যাট নং এ-২) তালা দিয়ে ঘরের সবাই পারিবারিক কারণে মুন্সিগঞ্জ যাই। বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জ থেকে ফিরে রাত ১০টায় আমার ফ্ল্যাটের মূল দরজার তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করি। কিন্তু তিন রুমের ফ্ল্যাটের মধ্যে দুই রুমের দরজা খুলতে পারলেও অপর রুমের দরজার তালা ভেতর থেকে লক থাকার কারণে একাধিকবার চেষ্টা করেও সেখানে ঢুকতে পারিনি। পরে রাত প্রায় ১০টা ৪০ মিনিটে আমি আমার পাশের বিল্ডিংয়ের ভাড়াটিয়াদের মাধ্যমে জানতে পারি যে, আমার ওই রুমের জানালার গ্রিল কাটা।’ এরপর কাটা গ্রিল দিয়ে পাড়ার পরিচিত এক লোকের সহযোগিতায় আমার ওই রুমের দরজাটি খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন তিনি।
গৌতম চন্দ্র ঘোষ অভিযোগে আরও বলেন, ‘রুমে প্রবেশ করার পর দেখতে পাই যে, আমার রুমে থাকা স্টিলের আলমিরার তালা ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। আলমিরার ভেতরে থাকা আমার মায়ের একজোড়া সোনার বালা; যার ওজন ২ ভরি, কানের টানাসহ একজোড়া সোনার দুল; যার ওজন ১ ভরি, সোনার ১টি বড় হার; যার ওজন ২ ভরি, ১টি সোনার লকেট; যার ওজন ৮ আনা, ১টি সোনার আংটি; যার ওজন ৬ আনা।’
তিনি আর বলেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রীর এক জোড়া সোনার বালা; যার ওজন ২ ভরি, একজোড়া সোনার চূড়; যার ওজন ৩ ভরি, একটি সোনার কণ্ঠচিক; যার ওজন ২ ভরি, একজোড়া সোনার কানের দুল; যার ওজন ১০ আনা। এছাড়া সোনার আংটি, গলার চেইন, ব্রেসলেটসহ সর্বমোট প্রায় ২০ ভরি সোনা, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা এবং আলমিরার ভেতরে থাকা নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেই।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৩ নভেম্বর বিকেল ৫টা থেকে ১৪ নভেম্বর রাত ১০টার মধ্যে যে কোনো সময়ের মধ্যে কে বা কারা আমার ফ্ল্যাটের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে আমার অলংকার ও নগদ অর্থ চুরি করে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করতে আমার কিছুটা বিলম্ব হয়।’
এ বিষয়ে পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান সাংবাদিক গৌতম। অভিযোগের বিষয়ে সূত্রাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চুরির ঘটনার অভিযোগটি আমরা গুরুত্ব নিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
সারাবাংলা/জেআর/এইচআই