‘বিচারের সম্মুখীন করতে শেখ হাসিনাকে দেশে আনার প্রক্রিয়া চালাবে বাংলাদেশ’
১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৫২
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস ভারতীয় দৈনিক দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চালাবে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, তবে তার দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলে তার (প্রধান উপদেষ্টা) কোনো আপত্তি নেই।
ঢাকায় তার বাসভবনে দ্য হিন্দুকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সংস্কারের পরিকল্পনার বিষয়ে এসব কথা বলেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ভারতীয় দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ দেওয়া হবে কি না? দ্য হিন্দুর সাংবাদিক সুহাসিনী হায়দারের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এটা এরইমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইনি। বিএনপি এটা করেছে। সব রাজনৈতিক দলকে অবশ্যই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। সুতরাং তারা এরইমধ্যে রায় দিয়ে দিয়েছে। আমরা দেশের একটি প্রধান দলের মতামতকে উপেক্ষা করতে পারি না।
তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আপনার কোনও আপত্তি নেই? জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক নেতা নই যে কোনো একটি দল বা আরেকটি দলকে বেছে নেব। আমি শুধু রাজনীতিবিদদের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করার চেষ্টা করছি।
তাহলে নির্বাচন কবে হচ্ছে? এই সরকার কতটা ‘স্বল্পস্থায়ী’? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেছেন, আমরা যখন দায়িত্ব নেই, তখন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিই, আমরা শুধু একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবো না, যারা এসে নির্বাচন করবে এবং দায়িত্ব হস্তান্তর করবে। আমাদের প্রধান দায়িত্ব হলো বাংলাদেশের জন্য সংস্কার আনা। তবে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে চাইনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে। এটি একটি স্বতন্ত্র প্রক্রিয়া। অন্যদিকে সংস্কারের প্রক্রিয়াও সমান্তরালভাবে চলছে। আমরা নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছি। আমরা আশা করি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের নাম ঘোষণা করা হবে। তারা একটি স্বাধীন সংস্থা হিসেবে কাজ করবে যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালিত হয়। কিন্তু তারা কোনো নির্বাচন করতে পারবে না যতক্ষণ না অন্যান্য সংস্কারগুলো কার্যকর হয়। সংবিধান সংস্কার কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আমাদের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হবে কি না। বাংলাদেশে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব থাকবে কি না। মেয়াদ এবং মেয়াদের সীমা কেমন হবে।
সারাবাংলা/ইআ