বাঁচানো গেল না ছুরিকাঘাতে আহত রাহাতকে
১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৬
ঢাকা: রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকায় সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্ধে, ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে কাকরাইল অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শান্তিবাগ রবিউলের বিরানী দোকানের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ওই কিশোরের নাম ইসমাঈল হোসেন রাহাত (১৭)। তার বাড়ি ফরিদপুর কোতয়ালীর ঘাটপাড়া গ্রামে। বর্তমানে শাহজাহানপুর শান্তিবাগ এসি মসজিদ গলি এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকতো। রাহাতের বাবা বেলায়েত হোসেন পেশায় প্রাইভেটকার চালক। এক ভাই এক বোনের মধ্যে রাহত ছিল বড়।
রাহাতের মামা মইন উদ্দিন জানান, রাহাত রাজারাবাগ পুলিশ লাইন স্কুল কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করে। পরে ফরিদপুর টেক্সটাইল কলেজে ভর্তি হয়েছিল। গতকাল বিকালে শান্তিবাগের বাসার কিছুটা দুরে রাহাতের স্কুলের সহপাঠিরা মারপিট করে ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় রাহাতকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় নেওয়া হয়। রাতে হঠাৎ রাহাতের অবস্থা খারাপ হলে কাকরাইলের অরোরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায় সে।
সোমবার ঢাকা মেডিকেলে আহত রাহাত জানিয়েছিল, স্কুলে আমার সহপাঠি হাসান, হোসেন ও হিমেল তাদের সিনিয়র হিসেবে সম্মান দিতে বলতো। কিন্তু আমি তাদের কথা শুনি নাই। এর জের ধরে হাসান, হোসেন দুই ভাইসহ হিমেল, তন্ময়সহ আরো কয়েজন শান্তিবাগে আমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে পিঠের দুই জায়গায় ছুরিকাঘাত করে।
শাহজাহানপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান জানান, সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মারা যায় রাহাত। এই ঘটনায় রাহাতের বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। এই ঘটনায় হাসান, হোসেন, ও তন্ময়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদেরর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এসএসআর/এমপি