৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের তালিকা প্রকাশ: সারজিস
২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৪
ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম জানিয়েছেন, যাচাই-বাছাই করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করা হবে অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের তালিকা।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিএসএল ভবনের সামনে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসনের রোডম্যাপ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
সারজিস আলম বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের তালিকা প্রনয়ণের লক্ষ্যে চলমান কাজের গতি বাড়াতে যথাযথ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত নির্ভুল ও সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করার কাজ চলছে। আমরা চাই আহতদের এই তালিকাটা আজকে নয়, বিশ বছর পরে হলেও যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। সেজন্য সময় নিয়ে হলেও বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে আমরা ভেরিফিকেশন করছি।
তিনি বলেন, আমরা নভেম্বরের ভেতর চেষ্টা করবো শহীদ পরিবারের যে তথ্য আছে, সেটার ভেরিফিকেশন শেষ করতে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শহীদ এবং আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা আমাদের থাকবে।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আহতদের শ্রেণীকরণের উপর ভিত্তি করে প্রাথমিকভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সর্বোচ্চসীমা ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেকেই চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা খরচ করে ফেলেছেন। সেই চিকিৎসার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য একটি উদ্যোগ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে নেওয়া হয়েছে। অবশ্যই এ টাকা তিন লাখ টাকার সাথে জড়িত নয়। এটি সম্পূর্ণ আলাদা। যার যত টাকা খরচ হয়েছে, ডকুমেন্টসসহ আমাদের সেলে জমা দিলে আমরা যথাযথ ভেরিফিকেশন করে আহতদের টাকা ফেরত দিব।
গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের দলনেতা খন্দকার জহিরুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, আহতদের পুনর্বাসনের একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা সরকার থেকে করা হবে। জুলাইয়ের আন্দোলনে অনেকে আহত হয়েছেন, যারা শারীরিকভাবে এতটা ক্ষতিগ্রস্ত যে, কর্মজীবনে ফেরার পথ ব্যাহত হতে পারে। এজন্য সরকার কিছু অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে, যাতে আহতদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়।
তিনি বলেন, যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবার এবং যারা আহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা সরকারের আছে।তালিকা প্রণয়ন ও কার্যক্রম এখনো অব্যাহত। শহিদ পরিবার যারা রয়েছে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা সহজ। যারা আহত রয়েছে তাদের তথ্য ভেরিফাই করা একটু কষ্টকর।
এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসবি/এইচআই