অন্তর্বর্তী সরকারকে ২ বছর চান নুর
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৩০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ আরও দুই বছর দেখতে চান বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর লালদীঘি মাঠে আয়োজিত এক গণসমাবেশে তিনি এ কথা জানান।
‘তারুণ্যের গণসমাবেশ’ শিরোনামে এ সমাবেশের আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ, চট্টগ্রাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল হক নুর বলেন, ‘শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য কিংবা কাউকে ক্ষমতায় বসাবার জন্য ছাত্রজনতা জীবন দেয়নি। কাজে নির্বাচন নিয়ে, ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে অস্থির না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে, কোনো রাজনৈতিক চাপে ছাত্র-জনতা এই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেয়নি। রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমরা ৫৩ বছর দেখেছি। কাজে আমরা আরও দুএক বছর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দেখি কি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার ব্যতীত কোনো নির্বাচন হবে না। অবশ্য সরকারকে ক্ষমতায় থাকার প্রশ্নে আমরা ব্ল্যাংক চেক দেব না। পরিষ্কারভাবে সরকারকে আমরা বলে দিতে চাই, আমরা আপনাদের কাজকর্ম দেখে অটো-রিনিউয়াল সময় দেব। আপনারা ভালো কাজ করবেন, আমাদের সমর্থন পাবেন। গণবিরোধী কর্মকাণ্ড করলে, জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে, এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে।’
আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ঠেকানোর আহবান জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘হেলাফেলায় সুযোগ নষ্ট করা যাবে না। রাতারাতি নির্বাচন হলে এ ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে না। গণ-অভ্যুত্থানে যারা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের জন্য কোনো রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে সুযোগ দেওয়ার কথা বলছেন। আমরা ক্ষমতায় বসতে জীবন দেইনি। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ঠেকাতে যদি প্রতিরোধের ডাক দিতে হয়, এ চট্টগ্রামের মাটি থেকে হবে সে ডাক।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবীতে প্রয়োজনে ঢাকায় মহাসমাবেশ করা হবে উল্লেখ করে নুরুল হক নূর বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবীতে গণঅধিকার পরিষদ আপনাদের এ চট্টগ্রাম থেকে ডাক দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। রাজনৈতিক দল, ছাত্র-আন্দোলনের নেতারা ও জনগণকে নিয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবীতে চট্টগ্রাম থেকে ডাক দিন। সারাদেশে সে ডাক ছড়িয়ে পড়বে। আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবীতে প্রয়োজনে ঢাকায় মহাসমাবশ করব, আপনারা প্রস্তুতি নেন।’
আওয়ামী লীগ প্রশ্নে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন রাজনৈতিক পরিবেশ, শান্তি এবং সম্প্রীতির পরিবেশ বিনির্মাণ করতে চাই। তাই বলে আমার ভাইয়ের রক্তে যাদের হাত লাল হয়েছে, তাদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করব। এত তাড়াতাড়ি এ নৃশংসতার স্মৃতি ভুলে যেতে পারব না। সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ জানাবো, যার যার রাজনীতি করুন। আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আপনারা পরিষ্কার হোন।’
গণঅধিকার পরিষদ নগর সভাপতি শাহ আলমের সভাপতিত্বে ও উত্তর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
সারাবাংলা/আইসি/এসআর