আলোচিত সেই তুফান সরকারে ১৩ বছরের কারাদণ্ড
২৭ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৩৭
বগুড়া: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় আলোচিত সেই শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারকে ১৩ বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরের জেলার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল্লা এ রায় ঘোষণা করেন।
তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৮২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ ছিল।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তুফান সরকার বগুড়া শহরের চক্র সূত্রাপুর এলাকার মৃত মজিবর রহমান সরকারের ছেলে। তিনি শহর শ্রমিক লীগের নেতা ছিলেন। সে পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। এক তরুণীকে ধর্ষণ। ওই তরুণী ও তার মা’র মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় তুফান সরকার দেশে-বিদেশে আলোচিত হয়।
তরুণীকে ধর্ষণ মামলায় ২০১৭ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন তুফান। আদালতে রায় ঘোষণা সময় তিনি পলাতক ছিলেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে আছেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে তুফান সরকার এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা জানাজানি হলে ওই তরুণী ও তার মাকে ধরে এনে চরিত্রহীন আখ্যা দেন। ওই সময় মা ও মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনায় আসে। পরে পুলিশ তুফান সরকারকে আটক করে।
আটকের পর তুফান সরকারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন দুদক বগুড়া কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম। ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দুদক বগুড়ার আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলায় দুটি ধারায় তুফান সরকারের ১৩ বছরের সাজা হয়েছে। এ ছাড়া তার অবৈধ সম্পদ ১ কোটি ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তুফান সরকার বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতারের পর থেকে এই দণ্ডাদেশ কার্যকর হবে।
সারাবাংলা/এসআর