‘সংস্কার করে নির্বাচনের জন্য ৩-৪ মাসই যথেষ্ট’
৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:১৪ | আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:০৮
ঢাকা: সংস্কার করে নির্বাচনের জন্য ৩-৪ মাসই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানের বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা যেসব সংস্কারের কথা বলেছি সেগুলো অধিকাংশ আইনি সংস্কারের বিষয়, কাগজের বিষয়, প্রাকটিক্যালি যে কাজগুলোর জন্য নির্বাচন কমিশন সময় নেয় যেমন ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নতুন ভোটার সংযোজন, কী কী ভুল-ভ্রান্তি আছে, ভুয়া ভোটার স্ক্রটনি করা তারপরে নির্বাচন কাজ অফিসার নিয়োগ, ডিলিমিটেশন ইত্যাদি সব কাজ গুছাতে প্রাকটিক্যালি ২/৩ মাসের বেশি সময় লাগার কথা না।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের আর সংস্কার— প্রশাসনিক সংস্কার, জুডিশিয়াল সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংস্কার আছে এগুলো সব সম্পন্ন করে নির্বাচন উপহার দিতে আমাদের মনে হয় না খুব বেশি হলে ৩/৪ মাসের বেশি সময় লাগবে। সব রিকমন্ডেশন ফাইনাল হওয়ার পরে আপনারা ধারণা পাবেন প্রাকটিক্যালি আমাদের কয়দিন সময় লাগবে একটা ইনক্লুসিভ ইলেকশন অনুষ্ঠানের জন্য।’
এক প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কেয়ারটেকার সরকার ইনপ্রেইস আছে বা হবে, এটাই ছিল সবচাইতে বড় বাধা একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন না হওয়ার। ডিলিমিটেশন, অপকর্মে জড়িতদের নির্ব্চান প্রক্রিয়া থেকে বাদ রাখা এসব হচ্ছে উপসর্গ। আসল রোগ হচ্ছে, কেয়ার টেকার সরকার না থাকাটা। কেয়ারটেকার সরকার পনর্বহাল হলে এই সমস্ত উপসর্গ আর থাকবে না। কেয়ারকেটাকার সরকার হলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে বাধ্য।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা যেসব প্রস্তাব করেছি, এগুলো অনুযায়ী সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। এখানে এমন কোনো প্রস্তাব করা হয় নাই, যেটা নতুন করে কোনো কিছু করতে হবে। আমরা নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করার কথা বলেছি, নির্বাচনের সচিবালয় করা এবং তাদের কিছু ক্ষমতা দেওয়া ইত্যাদি, আমরা প্রচলিত আইনগুলোর সংশোধন, সংস্কার— এগুলোর জন্য অধিক সময়ের প্রয়োজন হয় না।’
তিনি বলেন, ‘একটা নির্বাচনের বেসিক কাজ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সেই ভোটার তালিকা প্রণয়নে বাড়ি বাড়ি যাওয়া, আমরা এটা বুঝি নাই কী এক্সসারসাইজ হবে। ব্যাপারটা হচ্ছে যে, তালিকা ঘোষণার সময়ে এটাও ঘোষণা করা হয় যে, কারও নাম যুক্ত না হলে তাহলে তারা স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে গিয়ে নাম অন্তুর্ভুক্ত করবেন, কারও অভিযোগ থাকে যে, বেঁচে নাই, বিভিন্ন কারণে ভোটার হওয়া যায় না— এরকম কারও নাম তালিকায় থাকলে তা কার্যালয়ে গিয়ে জানালেই তো ভোটার তালিকা হয়ে গেল। এরপর নির্বাচনি প্রস্তুতিৃ সিডিউল ঘোষণা করা, রুল অনুযায়ী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করবে। এসব কিছু করতে এত বেশি সময় লাগার কথা না। আমরা যেসব প্রস্তাব দিয়েছি সেগুলো মেনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে খুব বেশি বিলম্ব হওয়ার কথা না।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব যেটা করেছি, সেটা হল যাদের নেতৃত্বে যেসব অপকর্ম হয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তারা বিতাড়িত হয়েছে পলায়ন করেছে। যাদের মাধ্যমে অপকর্ম করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি, যাতে তারা আগামীতে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় না থাকে সেই প্রস্তাব আমরা করেছি।’
‘কাজেই আমরা বিশ্বাস করি, অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় থাকছে তার নির্বাচনি কোনো স্ট্যাক নাই, নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। আর যারা নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে তাদের মধ্যে যারা এই ধরনের অপকর্মের সাথে আগে যুক্ত ছিল বা থাকতে পারে, তাদের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে এমন লোকদেরকে নিযুক্ত করা যারা এই ধরনের অপকর্মে যুক্ত হবেন না, সেটা আমরা বলেছি’— বলেন নজরুল ইসলাম খান।
সারাবাংলা/এজেড/এসআর
নির্বাচন বিএনপি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সংস্কার সালাহ উদ্দিন আহমেদ