কুষ্টিয়ায় পুলিশের অভিযানের সময় জাসদ নেতার ভাইয়ের মৃত্যু
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:২৮ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৪১
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পুলিশের অভিযানের সময় এক জাসদ নেতার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে স্থানীয় একটি বাজারের দোকানে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের একটি মোটরসাইকেল।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ ও বিজিবি অভিযান চালিয়ে অবরুদ্ধ ওই তিন পুলিশকে উদ্ধার করে।
রফিকুল ইসলাম দুদু (৪৫) চন্ডিপুর গ্রামের আজিজ মন্ডলের ছেলে। তার ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে অভিযানের ব্যাপারে পুলিশের স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁদগ্রামের ৪ নম্বর ব্রিজের কাছে রফিকুলের চায়ের দোকান আছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভেড়ামারা থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দীন ফোর্স নিয়ে ওই এলাকায় একটি মাদক বিরোধী অভিযান চালান। এ সময় পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ব্রিজ থেকে রফিকুল লাফ দেন। পুলিশ সেখানে ধাওয়া করে তাকে আটক করে। এ সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে রফিকুল অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ জনতা পুলিশের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে পুলিশকে ধাওয়া দেয়। এরমধ্যে তিন জনকে ধরে মারধর করে। তাদেরকে বাজারের একটি দোকানে আটকে রাখা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি।
পুলিশ কেন ঘটনাস্থলে গিয়েছিল, ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে মাদক অভিযানে গিয়েছিল বলে তিনি কলটি কেটে দেন।
নিহতের ছোট ভাই চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, ‘আমার ভাই রফিকুল কোনো মামলার আসামি নয়। মামলার কোনো ওয়ারেন্টও দেখাতে পারেনি পুলিশ। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) আবদুল খালেক জানান, তিন পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কেন পুলিশ সেখানে গিয়েছিল সেটার তদন্ত চলছে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে যাওয়া পুলিশদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, তদন্ত করে মূল ঘটনা পরে বলা যাবে।
সারাবাংলা/ইআ