প্রতি বছর চিকিৎসায় বিদেশে যাচ্ছে ৬০ হাজার কোটি টাকা : গভর্নর
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০৩ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:৪০
ঢাকা : বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বিদেশে চিকিৎসায় ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) চলে যায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, সেই টাকা কোথায় খরচ হয়, আমরা জানি না। অনেকে ট্যুরিস্ট ভিসায় বিদেশে গিয়ে ডাক্তার দেখায়। স্বাস্থ্যখাতে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক কিছু করার আছে। আমরা গবেষণা করতে পারছি না। কারণ আমাদের কাছে কোন বিগ ডাটা নেই।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ক্রস বর্ডার ডাটা ফ্লো: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক কর্মশালায় গভর্নর এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ‘এনাবলিং ক্রস বর্ডার ডাটা ফ্লোজ উইদিন বিবিআইএনএস টুওয়ার্ডস রিজিওনাল ইন্টিগ্রেশন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালা সঞ্চালনা এবং সূচনা বক্তব্য দেন পিআরআই চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. জায়েদি সাত্তার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট নিধি পারেখ। প্রবন্ধের বাংলাদেশ অংশ তুলে ধরেন পিআরআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, পৃথিবীর সব দেশে এখন খনির চাইতে ডাটাকে মাইনিং করে যে খনি হয় সেটার দাম অনেক বেশি। কয়লা খনি বা তেল খনি থেকেও ডাটা খনি অনেক বড়। বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষ আছে। এখানে অনেক ডাটা ক্রিয়েট হচ্ছে। আমাদের মোবাইল সিস্টেম থেকে হচ্ছে, আমাদের ক্ষুদ্র-মাঝারি খাত থেকে হচ্ছে, ট্যুরিজম সেক্টর থেকে হচ্ছে, কিন্তু সেটা ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে এর কোনো ভ্যালু আমরা পাচ্ছি না।
তিনি বলেন, আমি মনে করি ডাটাবেজ, ডাটা মাইনিং, ডাটা স্টোরেজসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যদি আমরা উন্নতি করতে পারি তাহলে অনেক বেশি উন্নতি করতে পারবো। এজন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আইনি কাঠামো তৈরি এবং আচরণগত পরিবর্তন করতে হবে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশে তথ্য আদান-প্রদান হয় না বললেই চলে। অনেকটা সাইলোর মতো। যার যার তথ্য তার তার কাছেই থাকে। এমনকি নিজেদের মধ্যেও তথ্য আদান-প্রদান করা হয় না।
তিনি বলেন, আমাদের ডাটা স্টোরেজের কোনো পলিসি নেই। বাংলাদেশে এখনো ডমেস্টিক ক্লাইউড সার্ভিসগুলো সেভাবে ডেভেলপ করেনি। এটা না করলে আমরা তথ্যগুলো সংরক্ষণ করতে পারবো না। সেটা মেডিকেল হোক, ট্যুরিজম হোক বা ফাইন্যান্সিয়াল হোক।
পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার বলেন, তথ্য আদান প্রদানে সবচেয়ে কম সংযুক্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। রাজনৈতিক সীমানা অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়ানোর আরও সুযোগ আছে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে যা আরও বেশি বাস্তব।
সারাবাংলা/জিএস/আরএস