ঢাকা: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার তীব্র প্রতিবাদ ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব বলেছেন, মানবিক মর্যাদা বিনষ্ট করার এক্তিয়ার কারো নেই।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে জেএসডি’র পক্ষ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। ১৯৭১ সালে তাদের বীরত্ব ও অবদানের কারণেই আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীন দেশে রাজনৈতিক প্রতি হিংসার বশবর্তী হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বা রাষ্ট্রের কোনো নাগরিকের সম্মানহানি কিংবা মর্যাদাহানি সত্যিই হতাশাজনক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও মর্যাদা পুনরুদ্ধারের জন্যই ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। কেউ যদি কোনো অপরাধে সম্পৃক্ত থাকে, তাহলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করা দেশের জন্য অমঙ্গলজনক।
বিবৃতিতে তার আরও বলেন, আমাদের মনে রাখা দরকার— আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই ‘৭১-এর প্রেরণাকে ধারণ করে ‘২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান সংঘঠিত হয়েছে। ফলে ‘২৪- এর মূল্যবোধকে ধারণ করতে হলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বিরত থাকা জরুরি। পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা।