হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে, বিচারের দাবি তাবলিগ জামাতের
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:০৮ | আপডেট: ৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫১
ঢাকা: ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে তাবলিগ জামাতের ঘুমন্ত মুসল্লীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা করে সাদপন্থি সন্ত্রাসীরা। ওই হামলায় তিনজন শহিদ হন এবং শতাধিক মুসল্লী আহত হন। সেই হামলার ঘটনায় মামলা হলেও সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশাসন কেন তাদের গ্রেফতার করছে না -তা আমরা বুঝতে পারছি না।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তাবলিগ জামাতের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের অন্যতম শীর্ষ মুরুব্বী উত্তরা জামিয়াতুল নুর আর কাসেমিয়ার মহাপরিচালক হাফেজ মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও সাদপন্থি তাবলিগকে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে আগামী শুক্রবার (১০ জানুয়ারি ) সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন এবং দাবি আদায় না হলে আগামী ২৫ জানুয়ারি সারাদেশে প্রতিনিধিত্বকারী আলেমদের নিয়ে ওলামা সম্মেলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠেয় ওই ওলামা সম্মেলন থেকে পরবর্তী করণীয় ঘোষণা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দোষীদের বিচার দাবি করে মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী বলেন, ১৭ ডিসেম্বর রাতে ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার পর সরকারের কাছে আমরা বিচার চেয়েছিলাম। মামলা হয়েছে। সরকার সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে আশ্বাস দিয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ উদ্যোগ নিয়েছিল, দুই পক্ষের সাথে বসে কীভাবে একটি সমাধান বের করা যায়। কিন্তু এর আগেই সন্ত্রাসীরা হামলা করে নিরীহ মুসল্লীদের ওপর।
ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ প্রশাসন তথা সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাই হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য আমরা আবারও সরকারকে বলে দিতে চাই। সরকারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতেই আমরা আলেম সমাজকে নিবৃত করেছিলাম।
নাজমুল হাসান কাসেমী বলেন, আমরা সরকারকে বলেছি, সাদপন্থিদের বিদেশি অপশক্তির সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগ রয়েছে। তাই ভবিষ্যতে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ মহিববুল্লাহ বাবুনগরী, হেফাজত নেতা আল্লামা মামুনুল হক, ফজলুল করিম কাসেমীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা উলামায়ে একরামদের মুরুব্বীরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইউজে/ইআ