৮০ কিমি গতিতে ট্রেন চলল যমুনা রেল সেতুতে, পূর্ণ গতিতে চলবে আজই
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৪৭ | আপডেট: ৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩২
সিরাজগঞ্জ: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে সেতুর ওপর দিয়ে পূর্ণ গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছ। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতি দিয়ে শুরু করে এরই মধ্যে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতেও ট্রেন চালানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পূর্ণ গতি তথা ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হবে এই সেতু দিয়ে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ২০ কিলোমিটার গতিতে দুটি ট্রেন সফলভাবে সেতু অতিক্রম করে। পরে আরও দুই দফায় ট্রেনগুলো সেতু অতিক্রম করেছে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে প্রথমবার এই সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছিল।
যমুনা রেলওয়ে সেতুর চিফ সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাইনুল ইসলাম জানান, রোববার পরীক্ষামূলকভাবে পূর্ণ গতিতে ট্রেন চলবে। এর অংশ হিসেবে প্রথমে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিয়ার গতিতে দুটি ট্রেন সেতুর পূর্ব পার থেকে পশ্চিম পারে ও পশ্চিম পার থেকে পূর্ব পারে ছেড়ে যায়। এরপর ১০টা ২০ মিনিটের দিকে দ্বিতীয়বার ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে দুই পাশ থেকে ট্রেন দুটি সেতু অতিক্রম করে। এরপর ১১টা ১ মিনিটে একটি ট্রেন সেতু পশ্চিম পার থেকে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে সেতুতে ওঠে ও ১১টা ৫ মিনিটে পূর্ব পার থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি পশ্চিম পারের সেতুর শেষ অংশ অতিক্রম করে। এভাবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে।
মাইনুল বলেন, ‘আমরা সবাই অধীর আগ্রহে সেই পূর্ণ গতির অপেক্ষায় আছি। সত্যি বলতে আমরা খুব আনন্দিত এবং উত্তেজিত। কয়েক বছর ধরে আমাদের এত বড় টিমের বিশাল কর্মযজ্ঞের পরে আজ পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে কাজটি। দেশের সর্বোচ্চ গতিতে ট্রেন চলবে এখানে। এটি আমাদের জন্য মাইলফলক।’
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে যমুনা রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায়। এর মধ্যে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি ২০ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
প্রকল্পটির মূল নির্ধারিত সময় ছিল ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে প্রকল্পের প্রথম সংশোধনীতে এ সময়সীমা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়। এরপর সদ্য বিদায়ী বছরের ২৬ নভেম্বর ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিসীমায় যমুনা রেলওয়ে সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম ট্রেন চলে।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ