তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১২৬, নিখোঁজ অনেকে
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:০৭ | আপডেট: ৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:২৩
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় শক্তিশালী এ ভূমিকম্পটি আঘাত হানে তিব্বতে। ভূকম্পটির উৎপত্তিস্থল বা এপিসেন্টার ছিল তিব্বতের টিংরি জেলাশহরের ১০ কিলোমিটার গভীরে। এপিসেন্টারটি থেকে হিমালয় পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার।
চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) বলেছে, ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮ পরিমাপ করা হয়েছে। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।
প্রথমবার ৬ দশমিক ৮ মাত্রার কম্পন হওয়ার পর কয়েক মিনিট ধরে বেশ কয়েক ডজন ‘আফটার শক’ হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্কস সেন্টার। প্রতিটি আফটার শকের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪ কিংবা তারও কিছু বেশি।
এ দিকে নেপালের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাজধানী কাঠমান্ডুতেও তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ ছাড়া ভারত ও বাংলাদেশেও এ ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
তিব্বতের স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে ১২৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো অনেকে নিখোঁজ এবং অনেকে ধ্বংস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ভূমিকম্পে অসংখ্য বাড়িঘর ধসে পড়ার কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত এলাকার জন্য ত্রাণশিবির স্থাপন করা হয়েছে। চীনের কেন্দ্রীয় সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করছে। আটকে পড়াদের খুঁজে বের করার জন্য প্রায় ১ হজার ৫০০ অগ্নিনির্বাপক ও উদ্ধারকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে স্থানীয় প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত শহরতলিগুলোতে প্রতিনিধিদের পাঠানো হয়েছে।
সারাবাংলা/এমপি