দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্ট কাঠামো নিয়ে মোমিনুলের শঙ্কা
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৩৩
গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনায় দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্ট কাঠামো। নতুন এই কাঠামোর পক্ষে বিপক্ষে এখনই শুরু হয়ে গেছে তর্ক বিতর্ক। বাংলাদেশ ব্যাটার মোমিনুল হক বলছেন, র্যাংকিংয়ের নিচু সারির দলগুলোর জন্য নতুন এই কাঠামো খুব একটা ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
বর্তমানে আইসিসির পূর্ণ সদস্য হিসেবে আছে ১২টি দেশ। টেস্ট স্ট্যাটাসও এই ১২টি দেশেরই আছে। তবে আইসিসি ভাবছে দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্ট কাঠামোর কথা। এমনটা হলে ১২টি টেস্ট খেলুড়ে দেশকে ভাগ করা হবে দুই স্তরে। প্রথম স্তরে থাকবে শীর্ষ ৭টি দেশ, দ্বিতীয় স্তরে রাখা হবে বাকি ৫ দেশকে। এতে করে ক্রিকেটের ‘বিগ থ্রি’ খ্যাত ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে টেস্টের সংখ্যাও বাড়বে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগামী চক্রের (২০২৫-২৭) ফাইনালের পরই এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আইসিসির।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোমিনুল বলছেন, বাংলাদেশের মতো দলের জন্য এটা খুবই হতাশাজনক সিদ্ধান্ত হবে, ‘এমন কিছু হলে আমি খুবই হতাশ হবো। সত্যি বলতে আমি কোনো দলকে ছোট করে দেখতে চাই না। কিন্তু দ্বিতীয় স্তরে আসলে কীভাবে কি করা হবে সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান। দ্বিতীয় স্তর থেকে প্রথম স্তরে উঠতে পারব কিনা সেটাও নিশ্চিত না। এই পদ্ধতিতে নিচু সারির দলগুলোর টেস্ট খেলার সংখ্যা কমবে, সেটা খুবই হতাশাজনক। আমাদের জন্য এটা ভালো হবে না। আমরা যদি ভালো দলের বিপক্ষে খেলতে না পারি তাহলে তো উন্নতিও হবে না। আমাদের তরুণ ক্রিকেটাররা একটা বৃত্তের মাঝেই ঘুরপাক খাবে।’
দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্ট কাঠামো হলে টেস্ট ক্রিকেটের বড় ক্ষতি, মানছেন মোমিনুল, ‘যখন আপনি ভালো দলের বিপক্ষে খেলবেন তখন নিজের অবস্থানটা বুঝতে পারবেন। দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্ট কাঠামো হলে টেস্ট ক্রিকেটের মানও অনেক কমে যাবে। টেস্ট যত কমবে, এই ফরম্যাট থেকে ক্রিকেটারের সংখ্যাও কমে যাবে। এসবের কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’
দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্ট কাঠামোর প্রস্তাব ২০১৬ সালেও একবার উঠেছিল। তবে সেবার শেষ পর্যন্ত এই প্রস্তাব পাশ করতে পারেনি আইসিসি। ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট (ইসিবি) বোর্ডের সভাপতি রিচার্ড থম্পসন ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) মাইক বেয়ার্ডের সাথে চলতি মাসের শেষদিকে তাদের দেখা বৈঠকে বসবেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। সেখানেই চূড়ান্ত হবে আইসিসির সিদ্ধান্ত।
সারাবাংলা/এফএম