চট্টগ্রাম ব্যুরো: পোষ্য কোটা বাতিলের আশ্বাস পেয়ে গভীর রাতে কর্মসূচি স্থগিত করে ফিরে গেছেন ‘আমরণ’ অনশনে বসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
পোষ্য কোটা বাতিল, জুলাই আন্দোলনে হত্যাকারীদের বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে ক্যাম্পাসে ‘আমরণ অনশন’ শুরু করেছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এদের নেতৃত্বে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছত্রে আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।
প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে তারা অনশন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, বুধবার রাত ১০টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন অনশনকারী শিক্ষার্থীদের দেখতে যান। তারা শিক্ষার্থীদের খাবার খাইয়ে অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন। তবে শিক্ষার্থীরা অনশন চালিয়ে যেতে অনড় ছিলেন।
এরপর গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে পোষ্য কোটা বাতিলের ব্যাপারে তাদের আনুষ্ঠানিক আশ্বাস দেওয়া হয়। আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আগামী রোববার পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন। রোববার প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের সিদ্ধান্তে না আসতে পারলে আবারও কঠোর অবস্থানে যাবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের অনশনকারী শিক্ষার্থী শুভ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অনশনরত অবস্থায় ছিলাম। এর মাঝে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারপর রাতে উপ-উপাচার্য পোষ্য কোটা বাতিল প্রসঙ্গে আশ্বাস দিলেন এবং আগামী রোববার পর্যন্ত আলোচনার সময় চাইলেন। ফলে আমরা আপাতত অনশন স্থগিত করেছি। তবে রোববারের মধ্যে পোষ্য কোটা বাতিল না হলে আমর আবারও অনশন শুরু করব।’