Thursday 16 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ইসিকে শক্তিশালী করার সবগুলো সুপারিশের পক্ষে আমরা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩১

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এম নাসির উদ্দিন। ফাইল ছবি

ঢাকা: নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, বিজ্ঞজনেরা সবদিক বিবেচনা করে সুপারিশ করেছেন। আমরা সুপারিশ পর্যালোচনা করার পর প্রতিক্রিয়া জানাব। যারা রিপোর্ট বানিয়েছে তারা বিজ্ঞজন। উনারা ভ্যালুয়েবল রিপোর্ট তৈরি করেছেন। অনেক কষ্ট করে রিপোর্ট করেছেন। কিন্তু সুপারিশ ষোলয়ানা বাস্তবায়ন নাও হতে পারে। তবে ইসিকে শক্তিশালী করতে যতগুলো সুপারিশ থাকবে সবগুলোর পক্ষে আমরা।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে এক পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন। রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করে।

সিইসি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার জন্য ২০২৩ সালে পাস হওয়া আইন বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। ওই আইন বাতিল করতে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া চিঠি অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনেই থাকবে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, অসৎ উদ্দেশ্যে এনআইডি স্বরাষ্ট্রে নেওয়া হচ্ছিল। আমরা দ্রুত সময়ে এটা বাতিল করতে সফল হয়েছি। এত দ্রুত আর কোনো কিছুতে সফল হয়েছে কি না আমার জানা নেই।’

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আমি সরকারকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাই যে, দ্রুত সময়ে অ্যাডভাইজেরি কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। গতকাল (বুধবার) আমরা চিঠি পাঠিয়েছিলাম, আজ (বৃহস্পতিবার) এটা পাস হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়া হয়, তখন আমি গণমাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছিলাম। দেশের একজন সিনিয়র নাগরিক হিসেবে তখনই আমি মনে করেছিলাম, কোনো মহৎ উদ্দেশ্যে এটা নেওয়া হচ্ছে না। আমি সিইসি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দুয়েকজনের সঙ্গে আলাপের পর আমি বলেছিলাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে হবে। এজন্য যা যা করার আমি করব। সেজন্য ওই আইন বাতিল করতে চিঠি দিয়েছি।’

একই অনুষ্ঠানে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সুপারিশ নিয়ে যেসব প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা ইতিবাচক। আমরা এমনভাবে সুপারিশ করেছি যাতে করে কোনো গণহত্যাকারী ও দুর্নীতিবাজ নির্বাচনে অংশ না নিতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘সামনের দিনে নির্বাচন কমিশন যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে সেজন্য আইনি কাঠামো তৈরি এবং অতীতের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য দায়বদ্ধতার সুপারিশ করেছি। সংস্কার কমিশনের জরিপে দেখা গেছে, ৯০ শতাংশ মানুষ জাতীয় সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মতামত দিয়েছে। নির্বাচনের দুর্নীতিমুক্ত রাখতে দুর্বৃত্তকারীরা ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সেজন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’

আরএফইডি সভাপতি একরামুল হক সায়েমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনএল/পিটিএম

এম এম নাসির উদ্দিন টপ নিউজ সিইসি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর