ঢাকা: ‘জনগণের কাছে দলিল লেখকরা খুবই সম্মানিত ব্যক্তি আর কোর্ট-কাচারিতে ব্যারিস্টার ও অ্যাডভোকেটদের কাছে দলিল লেখকরা অপরাধী,’ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক প্রস্তুতিসভায় এসব কথা বলেন সারাদেশ থেকে আগত বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির নেতারা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) আয়োজিত এই প্রস্তুতি সভায় এমএ রশিদসহ সমিতির কেএস হোসেন টমাস, এমএ তাহের, আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা, দুরুল হক, আয়নাল হক, আমিনুল ইসলাম আকন, মোস্তাফিজুর রহমান মল্লিক, মোঃ সেলিম, মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
সমিতির নেতারা দলিল লেখকদের ৭ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা দলিল ভুল লিখলে সাব-রেজিস্ট্রাট সেটি রেজিস্ট্রাট করলে শুদ্ধ হয়ে যায়। আর এ বিষয়ে মামলা হলে দলিল লেখক আসামি হয় কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রাট আসামি হয়না। আবার সঠিক ভাবে দলিল লেখা হলে সাব রেজিস্ট্রাট সেটি রেজিস্টাট না করলে তা বাতিল হয়ে যায়। এখানেও মামলা হলে দলিল লেখক আসামি হয় সাব-রেজিস্ট্রাট আসামি হয়না। এসব থেকে দলিল লেখকরা মুক্তি পেতে চায়। এজন্য দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা তাদের দাবি জানিয়ে আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ দলিল লেখকদের সমাবেশে ডেকেছে।
দলিল লেখক সমিতির দাবিগুলো হলো- দলিল লেখকদের পেশাচ্যুত না করা; দলিল প্রতি সম্মানী ভাতা নূন্যতম ৪ হাজার টাকা করা; লাইসেন্স প্রাপ্ত দলিল লেখক ব্যতিত অন্য কেউ যেন না লেখে; দলিল লেখকদের বসার ও নামাজের স্থান নির্মান করে দেওয়া; দলিল লেখকদের পেশাগত দলিল লেখা/মুসাবিদা কারক হিসাবে দলিল লেখকদের আসামি না করা; থানা ও জেলা কমিটির সুপারিশ ব্যতীত অনভিজ্ঞদের দলিল লেখার লাইসেন্স প্রদান না করা; দলিল লেখক কাউন্সিল গঠনের অনুমতি দেওয়া।