ঢাকা: রাজধানীর বনানীর বাসায় বাথরুমে ধূমপান করতে গিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দৌহিত্র বাবুল কাজী (৫৯) দগ্ধ হয়েছে। জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য ১৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বনানী ২৩ নম্বর রোডের বাসায় ঘটনাটি ঘটে। দগ্ধ অবস্থায় স্বজনরা জাতীয় বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে।
বার্ন ইনস্টিটিউটে দগ্ধ বাবুল কাজীর বড় বোন খিলখিল কাজী বলেন, ‘বাবুল কাজীর বাসা বনানীতে। সেখানে স্ত্রী কাজী নাদীরা ফারজানা ও দুই ছেলে, এক মেয়েকে নিয়ে থাকেন। বাবুল কাজীর গার্মেন্টসের ব্যবসা রয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘বাবুল কাজীর ধূমপানের অভ্যাস ছিল। ভোরে বাথরুমে গিয়ে গ্যাস লাইট দিয়ে সিগারেট ধরাতে গিয়ে বিস্ফোরনে দগ্ধ হন। ধারণা করা হচ্ছে বাথরুমে মিথেন গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছেন বাবুল কাজী। পরে পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন। বাবুলের ২০১৫ সালে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছে। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। মেডিকেল বোর্ড গঠন করে বাবুলের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. মারুফুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে তাকে দগ্ধ অবস্থায় স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার শরীরের ৭৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরআগে তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছে। তার সার্বিক চিকিৎসার জন্য ১৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। স্বজনদের কাছে জানতে পেরেছি বাবুল কাজীর ধূমপানের অভ্যাস ছিল। ভোরে বনানীর বাসায় বাথরুমে ধূমপান করতে গিয়ে গ্যাসলাইটার বিস্ফোরণে এই দগ্ধের ঘটনাটি ঘটে।’