Sunday 19 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ট্রাম্পের নামে ক্রিপ্টোকারেন্সি, চালু হতেই দাম বিলিয়ন ডলার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:১৭ | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৫৪

প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের আগেই ‘$ট্রাম্প’ নামে ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করেছেন, যার বাজারমূল্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

‘$ট্রাম্প’ নামে একটি মিম কয়েন চালু করার ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে তার সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দিয়েছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে এটি তার নতুন উদ্যোগ।

বিজ্ঞাপন

কয়েনমার্কেটক্যাপ ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরের মধ্যেই $ট্রাম্প কয়েনের বাজারমূল্য প্রায় ৫.৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিআইসি ডিজিটাল এলএলসি এই প্রকল্পটি সমন্বয় করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ইতিপূর্বে ট্রাম্প-ব্র্যান্ডেড জুতা এবং সুগন্ধিও বিক্রি করেছে।

মিম কয়েন সাধারণত ইন্টারনেটের একটি ট্রেন্ড বা আন্দোলনকে জনপ্রিয় করতে ব্যবহৃত হয়। এগুলোর অন্তর্নিহিত কোনো মূল্য নেই এবং বিনিয়োগ হিসেবে অত্যন্ত অস্থির।

সিআইসি ডিজিটাল এলএলসি এবং চলতি মাসের শুরুতে ডেলাওয়্যার-এ গঠিত ফাইট ফাইট ফাইট এলএলসি নামক একটি কোম্পানি এই কয়েনের ৮০ শতাংশ মালিকানায় রয়েছে। ট্রাম্প এই উদ্যোগ থেকে কত অর্থ উপার্জন করতে পারেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

কয়েনটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ২০০ মিলিয়ন ডিজিটাল টোকেন ইস্যু করা হয়েছে এবং আগামী তিন বছরে আরও ৮০০ মিলিয়ন টোকেন ইস্যু করা হবে।

ওয়েবসাইটটি আরও জানিয়েছে, ‘এই ট্রাম্প মিম একজন নেতার উদযাপন, যিনি কোনো প্রতিকূলতার পরোয়া না করে লড়াই চালিয়ে গেছেন।’ তবে এটিকে বিনিয়োগ সুযোগ বা সিকিউরিটি হিসেবে বিবেচনা না করার জন্য একটি সতর্কতাও দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ট্রাম্পের সমালোচকরা এটিকে প্রেসিডেন্সি থেকে মুনাফা করার একটি উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন।

‘ট্রাম্পের ৮০ শতাংশ মালিকানা এবং শপথের কয়েক ঘণ্টা আগে এটি লঞ্চ করা একটি শোষণমূলক পদক্ষেপ এবং এতে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন,’ ক্রিপ্টো ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট নিক টোমাইনা সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করেন।

ডিজিটাল টোকেনগুলো প্রায়ই বিনিয়োগকারীদের হাইপ তৈরি করে মূল্য বাড়ানোর এবং পরে বাজারের শীর্ষ মূল্যে বিক্রি করার জন্য অভিযুক্ত হয়। এতে দেরিতে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়েন।

ট্রাম্প একসময় ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সন্দিহান থাকলেও, গত বছর ন্যাশভিলে একটি বিটকয়েন সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘আমেরিকা আমার নেতৃত্বে বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী হবে।’

সারাবাংলা/এনজে

ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রাম্প ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র

বিজ্ঞাপন

জয় দিয়েই বছর শুরু মেসির
১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৫৫

আরো

সম্পর্কিত খবর