Wednesday 22 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প
আরএডিপিতে ৪২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রস্তাব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:২০ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৪

চট্টগ্রাম মহানগরে বন্যা ও জলাবদ্ধতা – ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: চট্টগ্রাম বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে (আরএডিপি) ৪২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে চলতি অর্থবছরে প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দ দাঁড়াবে ৬৭০ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকল্পটি সংশোধন না হওয়ায় তৈরি হয়েছে জটিলতা।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, সরকারি নিয়ম না মেনে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্প সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রকল্পের অনুমোদিত মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্ততঃ তিন মাস আগে সংশোধনের জন্য প্রক্রিয়াকরণ করার বিধান রয়েছে। অথচ প্রকল্পটির অনুমোদিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর সংশোধনী প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। যা বিধিসম্মত নয়।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, সরকারি অর্থায়নে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ,জলমগ্নতা ,জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটির মূল ব্যয় ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। মূল প্রস্তাবে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়নের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ প্রথম দফায় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় দফার বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর গত ১৩ নভেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোনহ প্রথম সংশোধনী প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার পরও প্রকল্পের জনগুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুনর্গঠিত আরডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ ও অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত আরএডিপিতে অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে না।

সারাবাংলা/জেজে/আরএস

চট্টগ্রাম বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প