Thursday 30 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কাস্টমস এজেন্ট নির্বাচন: একপক্ষকে অংশ নিতে না দেওয়ার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৭

সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সারাবাংলা।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে জোর করে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছে এজেন্টদের একাংশের সংগঠন সমমনা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর আগ্রাবাদের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সমমনা পরিষদের সমন্বয়ক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু।

সংবাদ সম্মেলনে কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে সমমনা পরিষদের কোনো সদস্যকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে না দিয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেন সংগঠনটির সমন্বয়ক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু।

লিখিত বক্তব্যে কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, ‘চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ৫০ বছরের পুরাতন একটি প্রতিষ্ঠান, যার কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় শতভাগ গণতন্ত্রের ব্যবহার সারা বাংলাদেশে প্রশংসিত। কিন্তু এ ৫০ বছরের ধারাবাহিক সুষ্ঠু নির্বাচনের ঐতিহ্যকে ভুলুন্ঠিত করতে গত কয়েকদিন ধরে ষড়যন্ত্র চলছে। গত তিনদিন ধরে বিপুল সংখ্যক বহিরাগত নিয়ে বৃহত্তর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ঐক্য পরিষদ নামধারী গুটিকয়েক এজেন্ট তাদের নির্ধারিত সদস্যদের বাইরে অন্য কাউকে মনোনোয়ন ফরম নিতে দিচ্ছে না।’

‘সাধারণ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের বৃহত্তম সংগঠন সমমনা পরিষদের কোনো সদস্যকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে না দিয়ে পেশিশক্তি প্রদর্শনের এক ন্যাক্কারজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছে তারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ও বৃহস্পতিবার সারাদিন বিপুল বহিরাগতদের নিয়ে সিঅ্যান্ডএফ টাওয়ারের সকল সিসিটিভি ক্যামেরায় কালো ট্যাপ লাগিয়ে তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের সকল প্রমাণ ঢাকতে চেয়েছে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহে ইচ্ছুক সমমনা পরিষদের নেতাদের দফায় দফায় লাঞ্ছিত করা হয়েছে। গুটিকয়েক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের এ পেশীশক্তি প্রদর্শনী, যা বৈষম্যবিরোধী নব বাংলাদেশের অভ্যুদয়কালে বৈষম্য প্রতিষ্ঠিত করার অপপ্রয়াসের শামিল।’

বিজ্ঞাপন

পুনঃনির্বাচনী তফসিলের দাবি জানিয়ে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের এ নেতা বলেন, ‘সদস্যদের ভোটাধিকার ক্ষুণ্ণ করার এ ধারাকে ব্যবসায়ী সমাজের জন্য অশনিসংকেত এবং এটা সদস্যদের জীবন-জীবিকা পেশাগত মর্যাদার সাথে সাংঘর্ষিক। আমরা অবিলম্বে নির্বাচনের পরিবেশ সুনিশ্চিত করার জন্য পরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন, শ্ৰম অধিদফতর ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। আমরা একতরফা নির্বাচনের এ প্রহসনকে প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনী তফসিলের দাবি জানাই।’

এ সময় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঞ্চিত হওয়া মনোনোয়ন প্রার্থী মো. নাজমুল, ওমর ফারুক ও পার্থ প্রতিম বড়ুয়াও বক্তব্য দেন।

ওমর ফারুক বলেন, ‘আমি গতকাল যখন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে যাই, তখন দেখি অন্যদের সংগ্রহ করা মনোনয়নপত্র নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমি তাকে বললাম, আমারটাও কি আপনি নিয়ে নেবেন তিনি কোনো উত্তর দেননি। পরে আমি সম্মানের ভয়ে আর মনোনয়ন ফরম নেইনি।’

পার্থ প্রতিম বড়ুয়া বলেন, ‘আমি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার জন্য যখন যাই, আমার থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা। অনেক বহিরাগত লোক এসে হেনস্থা করার চেষ্টা করে। সৌভাগ্যবশত আমাদের সমমনা পরিষদের অন্যান্য নেতা ও সদস্যরা ছুটে আসায় বেশি খারাপ কিছু ঘটেনি।’

সংবাদ সম্মেলনে সমমনা পরিষদের উপদেষ্টা এমএ সাত্তার, আবদুল গণি, এসএম মোয়াজ্জেম হোসেন, মিচ্ছু সাহা ও ফয়েজুল্লাহ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আইসি/এসআর

কাস্টমস এজেন্টদের নির্বাচন সংবাদ সম্মেলন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর