যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল জেট বিধ্বস্তের ঘটনায় মা-শিশুসহ নিহত ৭
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৯ | আপডেট: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:০৩
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় একটি ছোট মেডিকেল জেট শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কয়েকটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন বলে শহরের মেয়র নিশ্চিত করেছেন।
মেক্সিকোর তিজুয়ানার উদ্দেশ্যে যাত্রার সময় বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে একটি সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করার কথা ছিল। বিমানে এক শিশুরোগী ও তার মা, দুই পাইলট, একজন চিকিৎসক এবং একজন প্যারামেডিক ছিলেন। তারা সকলেই মেক্সিকোর নাগরিক।
তবে মেডিকেল জেটটি উড্ডয়নের মাত্র এক মিনিট পরই লিয়ারজেট ৫৫ মডেলের বিমানটি দ্রুত নিচে নেমে আসে এবং ভয়াবহ বিস্ফোরণের মাধ্যমে বিধ্বস্ত হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিমানটি দ্রুত নিচের দিকে নেমে আসছে এবং বিশাল আগুনের গোলায় পরিণত হচ্ছে।
এ ঘটনায় আরও ১৯ জন আহত হয়েছেন, তবে আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন মেয়র শেরেল পার্কার। শনিবার (১ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে শহরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাডাম থিয়েল বলেন, ‘এই দুর্ঘটনায় মোট কতজন নিহত হয়েছেন এবং আহতদের অবস্থা কী, তা নিশ্চিত হতে কয়েক দিন লেগে যেতে পারে।’
নিহত শিশু মেক্সিকোর তিজুয়ানায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ফিলাডেলফিয়ার শ্রাইনার্স চিলড্রেনস হাসপাতাল-এ চিকিৎসা শেষে তার দেশে ফেরার কথা ছিল।
জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড (এনটিএসবি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় নর্থইস্ট ফিলাডেলফিয়া এয়ারপোর্ট থেকে বিমানটি উড্ডয়ন করে। এটি মাত্র ১ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় উঠতে পেরেছিল, এরপর হালকা ডানে, পরে বামে বাঁক নেয় এবং হঠাৎই দ্রুত নিচে নেমে আসে।
আরও পড়ুন- যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল জেট বিধ্বস্ত, ঘরবাড়ি ও গাড়িতে আগুন
বিধ্বস্ত হওয়ার স্থান বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৪ মাইল (৬.৪ কিমি) দূরে। ফ্লাইটের লগ অনুযায়ী, বিমানটি মাত্র এক মিনিট বাতাসে ছিল।
এনটিএসবি প্রধান জেনিফার হোমেন্ডি বলেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে কোনো বিপদের সংকেত দেয়নি, এমনকি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে শেষ মুহূর্তে কোনো যোগাযোগও হয়নি।
ফিলাডেলফিয়ার দমকল বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনার পর পাঁচটি পৃথক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও সব আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বিধ্বস্ত স্থান রুজভেল্ট মলের কাছে, যা একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে অবস্থিত। দুর্ঘটনার পর বহু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এনটিএসবি জানিয়েছে, ককপিটের ভয়েস রেকর্ডার খুঁজে বের করার কাজ চলছে, তবে এটি হয়তো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন প্রশাসন (এফএএ) দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সারাবাংলা/এনজে