এখনো স্বস্তিতে শীতের সবজি, কিন্তু মাছের দাম ঊর্ধ্বগতি
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:০৪
ঢাকা: নিত্যপণ্যের বাজার দর চলছে ওঠানামার মধ্য দিয়ে। একটি পণ্যের দাম কমে, তো বাড়ে দুটি পণ্যের দাম।
শুক্রবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কয়েকটি কাচাঁবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে শীতের মৌসুমি সবজির সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কিছুটা কমছে।
সবজির বাজার
তিন সপ্তাহ আগে ২৩০-২৪০ টাকায় শিম বিক্রি হলেও বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। বাজারে বর্তমানে চার ধরনের শিম পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি কেজি শিমের জন্য গুনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা।
বারোমাসি সবজির মধ্যে করল্লা ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়স। গাজর ১০০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, লতি ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ১৪০ টাকা কেজি, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। চাল কুমড়ার পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শীতকালীন সবজির মধ্যে দাম কমে লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে। শালগম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা কেজি।
বড় আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে।এ ছাড়া অন্যান্য সবজির মধ্যে কিছুর দাম কমেছে আবার কিছু আগের দামে স্থিতিশীল রয়েছে
বাজারে আলুর সরবরাহে তেমন ঘাটতি না থাকলেও কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগার থেকেই এখনও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে পণ্যটি। ফলে আলুর দাম কমছে না।
মাছের বাজার
হঠাৎ কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে ইলিশ মাছের। তবে দেশি অন্যান্য মাছের দাম কমেছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য বড় চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ টাকা, কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। বড় সাইজের আইড় মাছ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজিতে, মলা মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিতল মাছ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা।
এ ছাড়াও তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙ্গাস প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, শোল ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ টাকা আর মাঝারি সাইজের ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সরপুঁটি মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি।
![](https://sarabangla.net/wp-content/uploads/2025/02/mach.jpg)
মাছের বাজার
পেশায় ব্যবসায়ী নুরু মিয়া বলেন, ‘ইদানীং বাজারে এলে মাছ কিনতে পারি না বাড়তি দামের কারণে। বাজারে সবচেয়ে কম দামের মাছও এখন বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। দরদাম করে সবশেষে তেলাপিয়া মাছ কিনলাম তাও ২২০ টাকা কেজি দরে। আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষরা কোনো মাছই এখন সেভাবে কিনতে পারছি না।’
মাছ বিক্রেতা রহিম মিয়া বলেন, ‘এই সপ্তাহের তুলনামূলক মাছের দাম অনেকটাই বেশি। কারণ আমরা বলতে পারব না, আড়তদাররাই ভালো বলতে পারবে। এই সপ্তাহ পুরোটাই মাছের দাম বেশি গেছে। এই সময়ে সাধারণত মাছের দাম কম থাকার কথা, কিন্তু উল্টো দাম অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি।’
মাংসের বাজার
কিছুটা বেড়েছে মুরগির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। তবে ডজন প্রতি মুরগির ডিমের দাম কমেছে ৫ টাকা পর্যন্ত।
বিক্রেতারা জানান, কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।
এদিকে বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা ।
সারাবাংলা/এনএল/এসডব্লিউ