৬টি অলাভজনক স্থলবন্দর বন্ধের সুপারিশ
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:০৪ | আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৩৮
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন
ঢাকা: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ৬টি অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন স্থলবন্দর প্রাথমিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করার সুপারিশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ৮টি স্থলবন্দর কার্যকর/অকার্যকরের বিষয় যাচাই এর লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটি এ সুপারিশ করেছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উক্ত কমিটি নির্ধারিত স্থলবন্দরসমূহ সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে পরামর্শ করে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এর নিকট কমিটির পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ উপস্থাপন করে।
সভায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের আমলে অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠেছে, যা রাষ্ট্রের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনেনি। অধিকন্তু রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হয়েছে। একটি উপজেলায় অপেক্ষাকৃত কম দূরত্বে দুটি স্থলবন্দরও নির্মাণ করা হয়েছে। দেশের জনগণের উন্নয়নের জন্য যেটি মঙ্গলজনক হবে সে সকল স্থলবন্দরসমূহ সচল রাখা হবে।
কমিটি কর্তৃক দাখিলকৃত পর্যবেক্ষণে প্রাথমিকভাবে বন্ধ/অকার্যকরের জন্য সুপারিশকৃত স্থলবন্দরসমূহ হচ্ছে – নীলফামারীর চিলাহাটি স্থলবন্দর, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর, রাঙ্গামাটির তেগামুগ স্থলবন্দর, দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দর, ময়মনসিংহের কড়ইতলী স্থলবন্দর এবং হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দর। এ সকল স্থলবন্দরসমূহে অর্থনৈতিক কার্যক্রম না থাকা এবং রাষ্ট্রের জন্য লাভজনক না হওয়ায় উক্ত স্থলবন্দরসমূহের কার্যক্রম বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও এ সকল স্থলবন্দরের ভারতের অংশে উপযুক্ত কোনো স্থাপনাও গড়ে উঠেনি। তবে বাংলাদেশ অংশে স্থলবন্দরের জন্য বিভিন্ন স্থাপনা/অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠায় উক্ত বন্দরসমূহের বিষয়ে অধিকতর যাচাইয়ের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/এনজে