ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, গণহত্যার বিচার হতেই হবে। যারা গণহত্যা করেছে, যারা লুট করেছে, যারা ছিনতাই করেছে, এ দেশে মানুষের অধিকার, কথা বলার অধিকার, এই দেশের মানুষের সম্পদ লুট করেছে, যারা এই দেশের শিশু বাচ্চাদেরকে গুলি করে হত্যা করেছে, গুলির নির্দেশ দিয়েছে, তারা কেউ যেন রেহাই না পায়, সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মতিঝিল থানার আয়োজনে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আব্বাস বলেন, ‘বাকশাল উঠিয়ে দিয়ে সর্বদলীয় রাজনীতি চালু করে জিয়াউর রহমান প্রথম সংস্কার করেছিলেন। বাকশালের কারণে হাসিনার রাজনীতির কোনো সুযোগ ছিল না। জিয়াউর রহমান হাসিনাকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে ছিলেন। সকল পত্র-পত্রিকা চালু করেছেন, জনগণকে কথা বলার অধিকার এবং ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে ছিলেন জিয়া। পরে বেগম খালেদা জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র কায়েম করে ছিলেন।’
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সংস্কার ঘোষণা দিয়ে হয় না। ২০২২ সালে আমাদের নেতা তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে যারা দেশকে বিভাজনের মাধ্যমে সংস্কার করতে চান, তাদেরকে বলতে চাই, আমাদের ছোট্ট একটা দেশকে ভাগ করে সংস্কার এ দেশের মানুষ কখনোই চায় না।’’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব তানভীর হাসান রবিনের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, তারেক রহমানের বিশেষ উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন প্রমুখ।